আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে প্রাচীন কাল থেকেই হলুদকে রোগ প্রতিরোধক ও জীবাণুনাশক হিসেবে হয়ে আসছে এছাড়াও, রান্নার ক্ষেত্রে যদি শুকনো হলুদ বেটে নিয়ে রান্নায় ব্যবহার করা হয় তো খুব ভালো হয়। পাশাপাশি, সকালে খালিপেটে এক ইঞ্চি পরিমাণে কাঁচা হলুদ সামান্য আখের গুড় দিয়ে খেয়ে এক গ্লাস গরম জল খেলে শরীরের সব দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। শুকনো হলুদের গুঁড়োতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন যৌগ, যেটিএকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
রোজ ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে যদি এক টুকরো কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খাওয়া যায় তার শারীরিক গুনগুন প্রচুর। অনেক সময় হলুদকে মিরাকল হারব্ বা অলৌকিক ঔষধি বলা হয়ে থাকে। কাঁচা হলুদে রয়েছে ভিটামিন সি। সুতরাং রোজ নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খাওয়া ও রান্নায় হলুদ ব্যবহার করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সাধারণ জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশিতে হলুদ ভীষণভাবে কার্যকারী। বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, হলুদ হল অসুখবিসুখের বিরুদ্ধে লড়াই এর এক অন্যতম প্রাকৃতিক উপাদান। এছাড়াও, হলুদের অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াললের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
তবে, হলুদ আপনাকে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্রত্যেকদিন ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে এই রোগ এবং এটির চিকিৎসা সম্পর্কে প্রচুর পরিমাণে ভুল তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। জার্নাল অব জেনারেল ভাইরোলজি দ্বারা প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হলুদে থাকা কার্কুমিন যৌগ ট্রান্সমিসিবল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস ভাইরাস (টিজিইভি) এর উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
হলুদে অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও এমন কোনও প্রমাণ নেই যে এটি আপনাকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা যোগাবে। এটির বিরুদ্ধে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খান। তবে,হলুদে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এর মতো বৈশিষ্ট্যে। সেক্ষেত্রে আপনি হলুদ সেবন করতে পারেন। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, সর্বদা জনসমক্ষে বেরোনোর সময় একটি মাস্ক ব্যাবহার করুন এবং নিজেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে রক্ষা করতে অবশ্যই টিকা গ্রহণ করুন।