করোনা সংক্রমিত রাহুল গাঁধী। টুইটারে তাঁর সুস্থতা কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবার দুপুরে টুইটারেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ রাহুল। ঘণ্টা খানের পরেই তাঁর সুস্থতা কামনা করে টুইট করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘আমি লোকসভা সাংসদ রাহুল গাঁধীজির দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থ শরীর কামনা করছি’।
টুইটারে করোনা সংক্রমণের কথা জানিয়েছেন রাহুল লিখেছিলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে সামান্য উপসর্গ অনুভব করার পর আমি এই মাত্র জানলাম, কোভিড পজিটিভ হয়েছি। যাঁরা গত কয়েকদিনে আমার সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের সবরকম সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করব। তাঁরা সাবধানে থাকুন’। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ এই টুইট করেন রাহুল। তার ঘণ্টা খানেক পরেই বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রাহুলের আরোগ্য কামনা করে টুইট করেন মোদী।
প্রসঙ্গত গত ১৪ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রাহুল। সেই সভার পরই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহে তাঁর পরবর্তী সমস্ত নির্বাচনী প্রচার সভা বাতিল করেন কংগ্রেস সাংসদ।
মঙ্গলবার এই টুইট করার ক’য়েক ঘণ্টা আগেই অবশ্য কেন্দ্রকে করোনা প্রতিষেধক নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন লোকসভার এই কংগ্রেস সাংসদ। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের জন্য বিনামূল্যে টিকা নেওয়ার সুবিধা নেই কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইটারে রাহুল লেখেন, কমবয়সিদের প্রতি এমন বিমাতাসুলভ আচরণ কেন করছে কেন্দ্র!
১ মে থেকেই ১৮ বছরের উর্ধ্বে থাকা ভারতীয় নাগরিকরা টিকা নিতে পারবেন বলে সোমবারই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের ওই ঘোষণাকেই কটাক্ষ করে রাহুল লেখেন, ‘টিকার দামে সরকারি নিয়ন্ত্রণ না এনেই টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে ‘মিডলম্যান’-এর আসার সুযাগ করে দিয়েছে কেন্দ্র’। এতে টিকার দাম বাড়তে বলে কটাক্ষ করে রাহুল লিখেছিলেন, ‘আসলে এটা ভারত সরকারের টিকা সরবরাহ নীতি নয়, টিকা নিয়ে ভেদাভেদ করা নীতি’।
টিকা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে ওই টুইট করার ঘণ্টা তিনেক পরেই রাহুল তাঁর করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর দেন টুইটারে। প্রসঙ্গত, বয়স ৫০ পেরোলেও কংগ্রেসের এই নেতা এখনও করোনা প্রতিষেধকের একটিও ডোজ নেননি বলেই সূত্রের খবর।