দেশজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগামী ৩ সপ্তাহ খুবই ‘কঠিন সময়’। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আগাম পরিকল্পনা করে রাখতে পরামর্শ কেন্দ্রীয় সরকারের। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কন্টেনমেন্ট জোন, করোনা মোকাবিলায় অন্যান্য পরিকল্পনা স্থির করে রাখতে বলেছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আরটি-পিসিআর RT-PCR টেস্ট করানোর উপরে জোর দিতে বলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ৩ সপ্তাহ করোনার সংক্রমণ বিপজ্জনক হারে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্যগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রসাসিত অঞ্চলগুলিতেও সংক্রমণ মাত্রাছাড়া রূপ নিতে পারে।
সেই কারণেই আগেভাগে সমস্ত পরিকল্পনা করে রাখতে পরামর্শ কেন্দ্রীয় সরকারের। মঙ্গলবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিব ও পুলিশ বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নীতি আয়োগ (স্বাস্থ্য)-এর সদস্য চিকিৎসক ভিকে পাল। তিনিই আগামী ৩ সপ্তাহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আরো বেশি সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই বৈঠক হয়। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক হয়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, দেশে করোনার সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। দেশে গত ১ জানুয়ারি করোনার দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজার ছিল। সেই সংক্রমণ এখন ১০ গুণ বেড়ে গিয়েছে।
করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। পরপর কয়েকদিন দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ২ লক্ষেরও বেশি। মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে নতুন করে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৭০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ জনের। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ২১ হাজার ৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩০ জন। দেশে এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ২০ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৯৭।