এবার থেকে রাজ্যগুলি সরাসরি টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে সরাসরি করোনার টিকা কিনতে পারবে। সোমবার কেন্দ্রের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। তবে ভ্য়াকসিন উৎপাদনের ৫০ শতাংশ সরবরাহ করতে হবে কেন্দ্রকে। বাকি ৫০ শতাংশের মধ্য়ে থেকে রাজ্যগুলি টিকা কিনতে পারবে।
কেন্দ্র যাতে ঠিক মতো ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারে তাই এই ব্যবস্থা। রাজ্যগুলিকে সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে কেন্দ্র৷ বাকি ভ্যাকসিন রাজ্যগুলি সরাসরি কিনতে পারবে। এমনকী খোলা বাজারেও ভ্যাকসিন বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলার পর যে দাম নির্ধারিত হয়েছিল সেই দামই বরাদ্দ থাকবে। এই দাম এবং কতটা ডোজ পাওয়া যায় তার উপর ভিত্তি করেই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। সেই মতো রাজ্য, বেসরকারি হাসপাতাল এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি সরাসরি উৎপাদক সংস্থার কাছ থেকে কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ কিনতে পারবে।
দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি বারবার জানিয়ে আসছে বিরোধী দলগুলি। কিছুদিন আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন। ভ্য়াকসিনের জন্য শীর্ষ নেতৃত্ব ও উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই জানানো হয় এবার ১৮ বছরের উপরে যে কেউ টিকা নিতে পারবে। দেশে যে হারে করোনা বাড়ছে সেই জায়গা থেকে ১৮ বছর হলেই করোনার টিকা দেওয়ার এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কেননা ভারতে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোনও বয়সকেই ছাড়ছে না। তাই এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলে মনে করছেন বিশিষ্টরা। তবে প্রশ্ন একটাই বর্তমানে দেশে টিকার ঘাটতি রয়েছে। ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকা দিতে হলে টিকা উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র যদিও রবিবার বারাণসী থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলির প্রতি টিকা উৎপাদন বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন।