করোনা আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কোনও সভা বাতিল হচ্ছে না। তবে, মোদির সব সভাতেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিজের কর্মসূচিতে কাটছাঁট করতে পারেন মোদি। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আরও যে চারটি সভা রাজ্যে হওয়ার কথা তা হতে পারে একদিনে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মোদির সভায় সর্বত্র শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার দিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিজেপির প্রথম সারির কেন্দ্রীয় নেতাদের সংস্পর্শে যাঁরা আসেন তাঁদের সভার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড টেস্ট (COVID Test) বাধ্যতামূলক। এবার থেকে সেই নিয়মে আরও কড়াকড়ির করার কথা ভাবছে রাজ্য বিজেপি। কর্মীদের কথা ভেবে সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখা হবে। সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবকদের বলা হয়েছে, সমাবেশে আসা মানুষেরা সকলেই যেন মাস্ক পরে থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে। যাঁদের মাস্ক থাকবে না, তাঁদের দলের পক্ষ থেকে মাস্ক দেওয়া হবে। ঠাসাঠাসি পরিস্থিতি এড়াতে চারটি করে বড় এলইডি স্ক্রিন বসাতে হবে।
তৃণমূলের (TMC) গড় ভবানীপুর দখল করতে সবরকম ব্রহ্মাস্ত্রই প্রয়োগ করছে গেরুয়া শিবির। শাহ থেকে মোদিকে দিয়ে ভোট প্রচার চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া ভবানীপুর আসনটি দখল করাই লক্ষ্য মোদি-শাহদের। ভবানীপুরে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ এপ্রিল ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে সুভাষ উদ্যানে আসছেন মোদি। দক্ষিণ কলকাতার বুকে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভার প্রস্তুতি ঘিরে চূড়ান্ত ব্যস্ততা গেরুয়া শিবিরে। এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি রয়েছে, ২২ এপ্রিল মালদহ ও মুর্শিদাবাদে সভা। ২৪ এপ্রিল বোলপুর ও দক্ষিণ কলকাতায় সভা। তবে এই সফরসূচি বদল হতে পারে। ২৩ এপ্রিল রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে একইদিনে চারটি জনসভা করতে পারেন মোদি। সেক্ষেত্রে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বোলপুর ও দক্ষিণ কলকাতার সভাগুলি ২৩ এপ্রিল হবে।
ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২০টি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম সভা করেছিলেন ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায়। তারপর ২২ ফেব্রুয়ারি হুগলির সাহাগঞ্জে। এই দু’টি তাঁর সরকারি সফর হলেও সরকারি কর্মসূচি শেষ করে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। আর ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর ৭ মার্চ ব্রিগেড থেকে মোদির নির্বাচনী সভা শুরু হয়েছিল। তারপর পুরুলিয়া (Purulia), খড়গপুর, বাঁকুড়া, কাঁথি, মথুরাপুর, উলুবেড়িয়া, হাওড়া, কোচবিহার, সোনারপুর, তারকেশ্বর, বারাসত, শিলিগুড়ি, আসানসোল, গঙ্গারামপুর, কৃষ্ণনগর, বর্ধমান ও কল্যাণীতে জনসভা করেছেন। ফলে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর এখনও পর্যন্ত ১৮টি সভা করেছেন মোদি। আরও চারটি সভা তাঁর বাকি রয়েছে। তবে ৭ মার্চ ব্রিগেডের পর কলকাতায় আর আসেননি। রাজ্যজুড়ে সভা করেছেন মোদি। এবার ২৩ এপ্রিল ফের কলকাতায় তাঁর ভোট প্রচার।