পয়লা মে থেকে ১৮ বছর হলেই করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। করোনা রুখতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত। দেশে ক্রমেই বাড়তে থাকা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কাকে সামলাতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ভারতের অধিকাংশ মানুষ যাতে প্রতিষেধক নিতে পারে তার জন্য গত এক বছর ধরে চেষ্টা করছে কেন্দ্র। আর এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রেকর্ড গতিতে এগিয়েছে। মোদী বলেন, “আমরা আগামী দিনে এব্যাপারে আরও দ্রুত গতিতে কাজ করব।”
এই ঘোষণার পর জানানো হয়, টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন কিনতে পারবে রাজ্যগুলি। আশা করা যাচ্ছে এর ফলে দেশের করোনা সংক্রমণে এবার কিছুটা ভাটা পড়বে। কেননা এখন ৪৫ ঊর্ধদের জন্য করোনা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা সারা দেশে চালু আছে। এখন করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার জেরে দেশের করোনা পরিস্থিতি সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে প্রশাসনকে। এর ফলে আবার দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। তাই সেই জায়গা থেকে ১৮ বছর হলেই করোনার টিকা দেওয়ার এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কেননা ভারতে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোনও বয়সকেই ছাড়ছে না। তাই এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলে মনে করছেন বিশিষ্টরা।
তবে প্রশ্ন একটাই বর্তমানে দেশে টিকার ঘাটতি রয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা টিকা নেই লিখে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাই ১৮ ঊর্ধদের টিকা দিতে হলে টিকা উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র যদিও রবিবার বারাণসী থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলির প্রতি টিকা উৎপাদন বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। তাই এই ঘোষণা কার্যকর করার ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত কী হয় তার ওপরই নির্ভর করছে এই ঘোষণার বাস্তবতা।