#Exclusive: নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক বিজেপি-র পথে! ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের অস্তিত্বই সংকটে

আরও ক্ষয়ের পথে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের তৃণমূল?

সূত্রের খবর, নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিং দিল্লি উড়ে গিয়েছেন। সোমবার নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বিজেপি সদর দফতরে যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে।

সুনীল সিং সম্পর্কে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর ভগ্নিপতি। নোয়াপাড়ার উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। অর্জুন বিজেপি-তে গেলেও এত দিন তিনি যাননি। কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তারপরই দেখা গিয়েছে তৃণমূলের মঞ্চ আলো করে রয়েছেন সুনীল। নরেন্দ্র মোদী যে দিন শপথ নিচ্ছেন, সে দিন ধর্না দিতে নৈহাটি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মঞ্চেও ছিলেন সুনীল। গত পরশুদিন কাঁচড়াপাড়ায় মমতার সভাতেও ছিলেন সুনীল।

পর্যবেক্ষকদের মতে, লাইন দিয়ে ক্ষইছে তৃণমূল। গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল থেকে ক্রমশ বিলীন হচ্ছে ঘাসফুল। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছিল শিল্পাঞ্চলের সংগঠনের ভাঙন ঠেকানোর তাঁরা কার্যত ব্যর্থ। বিড়ালকে বাঘ বানালে যা হওয়ার তাই হয়েছে।

ব্যারাকপুর মহকুমার সংগঠন দেখভালের জন্য জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে একটি টিম করে দিয়েছিলেন দিদি। তাতে যেমন রয়েছেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, তেমনই রয়েছেন মদন মিত্র, তাপস রায়রা। কিন্তু কোনও ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না।

আগেই হাতছাড়া হয়েছে ভাটপাড়া পুরসভা। ফস্কে গিয়েছে কাউগাছি পঞ্চায়েত। এ দিকে ব্যারাকপুর থেকে ও দিকে উত্তর চব্বিশ পরগনার সীমানা পেরিয়ে নদিয়ার কল্যাণী, রাণাঘাটেও ছড়িয়ে পড়ছে সেই ভাঙন।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিকে যাঁরা খুব কাছ থেকে দেখেন, তাঁদের অনেকেরই মতে, যত দিন যাচ্ছে, তত প্রকট হচ্ছে এই অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্বের সাংগঠনিক দুর্বলতা। ক্রমশ ছড়াচ্ছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়ার হিড়িক। নদিয়া বাদ দিলেও যদি শুধু ব্যারাকপুর লোসভা ধরা হয় তাতেও তৃণমূল যেন টিমটিম করে জ্বলছে। ভাটপাড়া বিধানসভায় তৃণমূল খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বীজপুরের তৃণমল বিধায়ক তথা মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুও বাবার দলে যোগ দিয়েছেন। এ দিকে সুনীল সিং দিল্লিতে। রইল পড়ে ব্যারাকপুর, জগদ্দল আর নৈহাটি। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক তবু যা একটু নড়াচড়া করেন, জগদ্দল এবং ব্যারাকপুরের ক্ষেত্রে তা একেবারেই নয়। শীলভদ্র দত্ত এবং পরশ দত্তরা অর্জুনের দাপটের সামনে একেবারেই ম্রিয়মাণ। যা দেখে অনেকেই বলছেন, এই সে দিনও যে দলটার নামে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেয়ে যেত, সেই দলটাই কেমন গুটিয়ে যাচ্ছে।

শোভন চক্রবর্তী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.