করোনার ধাক্কা! রোগীর চাহিদা মেটাবে শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন

ভারতে করোনার সংক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে অক্সিজেন ঘাটতির খবর আসছে। এবার অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার কেন্দ্র সরকার নয়টি নির্দিষ্ট শিল্প বাদ দিয়ে অন্যান্য সমস্ত শিল্পক্ষেত্রে অক্সিজেন সরবরাহ নিষিদ্ধ করল। ২২ শে এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এই সিদ্ধান্তটি।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা রাজ্যের মুখ্যসচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তাঁরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্দিষ্ট নয়টি শিল্প ছাড়া অন্যান্য শিল্পে যে অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়, তা যেন করোনার রোগীদের জন্য ব্যবহারের বন্দোবস্ত করেন।

এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ওষুধ শিল্প, পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি, ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ফুড অ্যান্ড ওয়াটার পিউরিফিকেশনের মতো বেশ কিছু শিল্পকে। এই আদেশ দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন ভারতে করোনা পরিস্থিতির আগে প্রতিদিন ১০০০-১২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন হতো। কিন্তু ১৫ এপ্রিল সেখানে লেগেছে ৪,৭৯৫ মেট্রিকটন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে মহারাষ্ট্রে ১৬৪৬ মেট্রিকটন, উত্তর প্রদেশে ৭৫২ মেট্রিক টন, দিল্লিতে ৩৭৮ মেট্রিকটন অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো রাজ্যে যেখানে করোনা পরিস্থিতি সব থেকে খারাপ, সেইসব রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, তারা যেন সেইসব রাজ্যে শিল্পে ব্যবহার্য অক্সিজেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। সেই অক্সিজেন যাতে করোনার রোগীদের জন্য ব্যবহার করা যায়, সেই ব্যবস্থা করেন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কর্ণাটক, বিহার, মহারাষ্ট্র সরকার অক্সিজেনের অভাবের কথা জনিয়েছে কেন্দ্রকে।ইতোমধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠাতে কেন্দ্র সরকার অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসরে নেমেছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও বা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। রাজধানী দিল্লিতে কোভিড ফেসিলিটি সেন্টার তৈরি করল এই সংস্থা। এতে রাখা হয়েছে অক্সিজেন বেড ও ভেন্টিলেটর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.