আর কিছুক্ষনের মধ্যে আকাশে দেখা যাবে বিদ্যুতের রেখা। ধেয়ে আসছে মুষলধারে বৃষ্টি। সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া।প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে চলবে এই ঝোড়ো হাওয়া। এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তিলোত্তমার পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, আলিপুরদুয়ারেও।সকাল থেকেই আংশিক মেঘাচ্ছন্ন ছিল আকাশ। শনিবার সন্ধ্যায় পূবালি বায়ুর কারণে হওয়া বৃষ্টিপাতের জেরে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমেছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শহরের তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি। দুই ক্ষেত্রেই যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম ছিল তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮৫ ও ৫১ শতাংশ।
আগামী দু’ তিনদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে।কয়েকদিন তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নিম্নগামী হবে।তারপর ২৩-২৪ এপ্রিল থেকেই বাড়তে শুরু করবে গরম। এমনটাই দাবি করছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা পূবালি বায়ু সক্রিয় হয়েছে। একমাত্র দক্ষিণবঙ্গে এই পূবালি বাতাস সক্রিয় হওয়ার কারণে বৃষ্টিপাত হয়। ভারতবর্ষের অন্যান্য জায়গায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবেই বৃষ্টিপাত হয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধেবেলা বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতায়। সঙ্গে চলে ঝোড়ো হাওয়া। এদিন ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৩o-৪০ কিলোমিটার। কলকাতার পাশাপাশি এদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে দুই ২৪ পরগনায়।উত্তরবঙ্গেও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির চিত্র দেখা গিয়েছিল।আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে পূবালী হাওয়ার কারণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে ভারতবর্ষের অন্য জায়গায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর জন্য।
এপ্রিলের শেষে যে গরম বাড়বে, তা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। তবে বৈশাখের তৃতীয় দিনে স্বস্তির বৃষ্টি কিছুটা হলেও কমিয়েছিল গ্রীষ্মের জ্বালাপোড়া গরম। যার জন্যে খুশি বাংলা ও বাঙালি।