মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ‘আক্রান্ত’। রবিবার সিঁথির মোড়ে তৃণমূল কর্মীরা তাঁর উপর আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। ওই ঘটনায় পুলিশের সাহায্য মেলেনি বলেও দাবি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন গোলকিপারের। ঘটনাস্থল থেকেই কমিশনে ফোনে নালিশ জানিয়েছেন কল্যাণ। রবিবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় ঘটনা নিয়ে আবশ্য তৃণমূলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অষ্টম দফায় উত্তর, মধ্য ও পূর্ব কলকাতার ৭টি আসনের ভোট গ্রহণ রয়েছে। রবিবার সিঁথির মোড়ের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘মক পোলিং’ চলছিল। বিকেল ৫টা নাগাদ সেখানে হাজির হন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ। সেই সময়ই তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী তাঁকে গালিগালাজ ও হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। কল্যাণের দাবি, তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিবাদ জানালে তৃণমূলের আরও ৩৫ থেকে ৪০ জন কর্মী সেখানে হাজির হয়ে তাঁর উপর আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ কল্যাণের। তিনি ঘাড়ে চোট পান এবং তাঁর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন কল্যাণ। পরে পুলিশ এসে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি ঘরে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখে।
কমিশনে ইতিমধ্যে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। কল্যাণের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভোট প্রশিক্ষণ দেখতে এসেছিলাম। তৃণমূলের বুথ এজেন্ট এবং কর্মীরা আমার উপর আক্রমণ করেন। ধাক্কা দিতে দিতে বুথের ২০০ মিটারের বাইরে আমাকে বের করে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনা কমিশনকে জানিয়েছি। তৃণমূল হেরে যাবে বুঝতে পেরেই অশান্তির সৃষ্টি করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করেই জিতব।’’ পাশিপাশি এই ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতা মেলেনি বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘‘আমার উপর আক্রমণের সময় পুলিশ নীরব ছিল। প্রথমে আমাদের মহিলা এজেন্টরা আমাকে বাঁচাতে আসেন। তারপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ আমাকে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বলে। আমি অস্বীকার করলে, তাঁরা আমাকে একটি কক্ষে বন্ধ করে রাখেন। পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও কমিশনে নালিশ করেছি।’’
কল্যাণ আক্রমণের মুখে পড়লে ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপি-র উত্তর কলকাতার সভাপতি তথা কাশীপুর-বেলগাছিয়ার প্রার্থী শিবাজি সিংহ রায়। বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনায় তাঁর অনুগামীরা বিটি রোডে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশের সহায়তায় অবরোধ ওঠে। তৃণমূলের দিকে অভিযোগ উঠলেও দলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।