বিজেপিকে ভেঙে ছারখার করতে মুকুলের গড়ে পা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূল কর্মীদের মনোবল বাড়াতে করেছিলেন কর্মিসভা৷ তাতে কিছু যায় আসেনি বিজেপির৷ বরং মমতার সভার ঠিক পরের দিনই পাল্টা সভা করে গেরুয়া শিবির৷ দলে টেনে আনে হরিণঘাটা পুরসভার নয় কাউন্সিলর৷ ফলে আরও এক পুরসভা বিজেপির পকেটে৷
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগণার বীজপুরের মিলন নগর আদর্শ সংঘের মাঠে কর্মী সভা করেন সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ তারপরের দিন শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগণার কাঁচরাপাড়ার আদর্শ সংঘের মাঠে তার জনসভার পালটা জনসভা করে বিজেপি। সেই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা মুকুল রায়, বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় সহ উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বরা। এছাড়াও জনসভায় হাজির ছিলেন নদিয়ার হরিণঘাটা পুরসভার নয় জন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাদের দলে অন্তর্ভু্ক্ত করেন মুকুল রায়, অর্জুন সিংরা।
এছাড়াও এই মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেস দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন কাঁচরাপাড়া পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান সুদামা রায়। এদিন মুকুল রায় বলেন, ‘‘হরিণঘাটা পুরসভার ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর ছিল৷ তাদের মধ্যে নয় জন বিজেপিতে যোগদান করেছে। ফলে এই পুরসভা এখন বিজেপির দখলে চলে আসল। আগামী দুই একদিনের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটা পুরসভা বিজেপির দখলে চলে আসবে।’’
এদিন মুকুল রায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উচিত নিজে এনআরএস হাসপাতালে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলা৷ তবে হয়তো রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবায় যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা মিটে যাবে।’’ এদিনের জনসভায় সাংসদ অর্জুন সিং এবং শুভ্রাংশু রায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে তাকে অসুস্থ বলে ব্যাখ্যা করেন।