দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই ঊর্ধমুখী। এমতাবস্থায় ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের অন্যতম প্রধান অস্ত্র ভ্যাকসিন। কিন্তু এই ভ্যাকসিনেরও আকাল দেখা দিয়েছে, টান পড়ছে ভাড়ারে। এহেন অবস্থায় কিছুটা আশার খবর, এপ্রিলের মধ্যেই ভারতে আসতে পারে তৃতীয় করোনা টিকা স্পুটনিক-ভি। রাশিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এখবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে চলতি সপ্তাহেই ‘রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’ (আরডিআইএফ)-এর স্পুটনিক-ভি ভারতে আপৎকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। বিশ্বের ৬০ নম্বর দেশ হিসেবে এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত।
রাশিয়ান সংবাদ সংস্থার খবরে উল্লেখ, ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, এই মাসে শেষের দিকে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান রাশিয়া থেকে ভারতে পাঠানো হবে জানা গিয়েছে। মে নাগাদ ভারতে এর উৎপাদন শুরু হবে, ধীরে ধীরে উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।
জানা গিয়েছে, কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের চেয়ে অনেক কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় এই স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনকে। এগুলি মজুত করার জন্য ভারতে বর্তমান কোল্ড চেন পরিকাঠামো রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন – এই দুই হাতিয়ারকে সঙ্গেএ করেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছিল ভারত। কিন্তু এবার এই দুইয়ের সঙ্গে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি যোগ হলে লড়াইয়ে ভারত যে একধাপ এগিয়ে থাকবে সেকথা বলাই যায়।
অন্যদিকে ভারতে কোভিড সংক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংক্রমণ যে লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শুক্রবারের রিপোর্ট বলছে শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৫৩ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১১৮৫ জনের। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩০২ জন। এত সংখ্যক মানুষ সুস্থ হওয়ার পরেও দেশে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের গ্রাফ ক্রমেই বাড়ছে। এই মুহুর্তের রিপোর্ট বলছে দেশে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৪৩। যা মটেই সুখকর বার্তা নয়।