দিন যত যাচ্ছে ততই উদ্বেগ বাড়িয়ে জাঁকিয়ে বসছে করোনার সংক্রমণ। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ রীতিমতো তান্ডব চালাচ্ছে দেশজুড়ে। এই অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত কেন্দ্রের আওতাধীন অর্থাৎ ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার’ (ASI) দ্বারা সুরক্ষিত সমস্ত জাদুঘর, স্মৃতিসৌধ এবং মন্দিরের দরজা দর্শকদের জন্য আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃত এবং পর্যটন দফতরের মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল একটি টুইট করে এই খবর জানিয়েছেন।
টুইটে তিনি জানান, দেশে যেভাবে করোনা বাড়ছে তাতে এএসআই – এর নির্দেশে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত কেন্দ্রের আওতাধীন সমস্ত মন্দির, মসজিদ, মনুমেন্ট এবং জাদুঘর বন্ধ রাখা হবে। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে ৩,৬৯৩ টি স্মৃতিস্তম্ভ এবং ৫০ টি জাদুঘর রয়েছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং সোমনাথ মন্দিরের মতো সরাসরি প্রতিদিন পুজোপাঠ অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোনও ভক্ত জনসমাগমের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রকের মিডিয়া উপদেষ্টা নিতিন ত্রিপাঠি।
করোনা মহামারীর কারণে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে ‘এএসআই’ দ্বারা সুরক্ষিত সমস্ত স্মৃতিসৌধ এবং জাদুঘরগুলি বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে জুলাই মাসে সব খুলে দেওয়ার পর দর্শকদের জন্য কঠোর ভাবে সরকারি গাইডলাইন মেনে চলার নির্দেশিকায় জারি করা হয়েছিল। মাস্ক পড়ে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ফের দর্শকদের জন্য খুলে যায় বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির দরজা।
অন্যদিকে, দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এবার ভেঙে গেল ২ লক্ষের গন্ডিও। বুধবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লক্ষেরও বেশি। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হল ১ হাজার ৩৮ জনের। পরিসংখ্যান বলছে দেশে বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩৯ জন। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৩ হাজার ৫২৮ জন।
দেশে নতুন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে মোট সংখ্যাও বাড়ল ব্যাপক হারে। দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫৬৪ জনের। এরমধ্যে অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেছে এমন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৬৪ জন। দেশে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৭৭ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনার ভয়াল থাবায় এখন অবধি মৃত্যু হয়েছে মোট ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ১২৩ জনের।