করোনায় ত্রস্ত দেশ। সংক্রমণ এড়াতে এবার ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work from Home)-এর পথে হাঁটল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দৈনিক কাজকর্ম চলবে। এমনকী অফিসে কাজের সময়ও কমানো হয়েছে। কন্টেনমেন্ট জোনে থাকা প্রত্যেক কর্মীকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দিচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
দেশজুড়ে করেনাার দ্বিতীয় ঢেউ বিপজ্জনক আকার নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজের মেয়াদ বাড়িয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলি। বহু সরকারি সংস্থাও ওয়ার্ক ফ্রম হোম সুবিধা দিচ্ছে কর্মীদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম প্রসেসে কাজ করতে উৎসাহ দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জেরেই এই পরামর্শ বলে জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও অফিসার থেকে শুরু করে সেক্রেটারি লেভেল পর্যন্ত আধিকারিকদের বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছে। তবে ডেপুটি সেক্রেটারি ও তাঁর উপরের আধিকারিকদের নিয়মিত অফিসে আসতে বলা হয়েছে। তাঁদের সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে অফিসে ঢুকতে বলা হয়েছে। দিল্লিতে করোনার সংক্রমণ বিপজ্জনক রূপ নেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকও ৫০ শতাংশ কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছে। উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক তাদের ৬৭ শতাংশ কর্মীকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দিয়েছে। যে কর্মীরা করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের ১৪ দিমের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। নিয়মিত তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেশে করেনাার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। লাগামছাড়া সংক্রমণে ত্রস্ত ভারত। রাজ্যে-রাজ্যে সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতি। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৫৩ জন। একদিনে করোনায় দেশে মৃত্যু ১১৮৫ জনের। দেশে এই মুহুর্তে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৪৩। সব মিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৯১ হাজার ৯১৭। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০৮ জনের।