বাবাসাহেবের জন্মদিনে কিছু আলোচিত না হওয়া সত্য

🖋️


বাবাসাহেবের জন্মদিনে কিছু আলোচিত না হওয়া সত্যঃ

• বাবাসাহেবের লেখা ভারতের সংবিধানে “সেকিউলার” এবং “সোশ্যালিস্ট” শব্দদুটি ছিল না।

• বাবাসাহেব হিন্দুধর্মের জাতপাতের বাড়বাড়ন্ততে খড়্গহস্ত ছিলেন। সেটা যেকোন সুস্থ মানুষই হবেন। বামনারা তাঁর ওপর অত্যাচারও কিছু কম করেননি। তাই তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। বেশ করেছিলেন। কিন্তু বামমহল থেকে যেটা বলা হয়, “হিন্দুধর্মে পুনর্জন্ম আর কর্মফলের কনসেপ্ট আসলে সামন্ততান্ত্রিক শোষণের হাতিয়ার, তাই আম্বেদকার হিন্দুধর্ম ত্যাগ করেছিলেন।” সেটার বিন্দুমাত্র কোন ভিত্তি নেই। কারণ, বৌদ্ধধর্মে পুনর্জন্ম আর কর্মফলের কনসেপ্ট হিন্দুধর্মের থেকে বেশী বই কম নেই।

• বাবাসাহেবের মধ্যনামটি হল “রামজি”। বাবাসাহেব হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করার পর কিন্তু এই “রামজি” মধ্যনামটি ত্যাগ করেননি।

• বাবাসাহেব ব্রিটিশের বানানো বহিরাগত আর্য আক্রমণের তত্ত্ব বিন্দুমাত্র মানতেন না। তিনি বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ দিয়ে আলোচনা করে দেখিয়েছেন বহিরাগত আর্য আক্রমণের তত্ত্ব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

• বাবাসাহেব কমিউনিজম আর ভারতে ই স লা মী আগ্রাসনের বিরোধিতা করে যা সব বলে গেছেন, তার সবগুলি সংগ্রহ করলে একটা বৃহৎ কলেবর পুস্তক হয়ে যাবে।

• বাবাসাহেবের লেখা অনুযায়ী ভারত থেকে বৌদ্ধধর্মের অবলুপ্তির প্রধান কারণ ই স লা মী আগ্রাসন। আদি শঙ্করাচার্যের হি ন্দু পুনর্জাগরণকে তিনি বৌদ্ধধর্মের অবলুপ্তির জন্য দায়ী করেননি।

• বাবাসাহেব দলিত-মু স লি ম ঐক্যের বিরোধী ছিলেন। যোগেন মণ্ডলের প্রাথমিক অবস্থানের সাথে কখনোই সহমত ছিলেন না। সম্ভবত দলিত-মু স লি ম ঐক্যের জন্য যোগেন মণ্ডলের পরবর্তী অবস্থা কী হতে চলেছে, সেটা তিনি আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। বাবাসাহেব যে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ সঠিক ছিলেন, পরবর্তীকালে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে এসে যোগেন মণ্ডলের লেখা চিঠিই সেকথা প্রমাণ করে।

• মার্ক্সবাদের তিনি চিরবিরোধী ছিলেন। এমনকি কমিউনিস্টরাও যে তাঁকে একদমই পছন্দ করতেন না, সেকথাও তিনি অনেকবার বলেছেন।

• বাবাসাহেবের লেখা ভারতীয় সংবিধানে বিখ্যাত শিল্পী নন্দলাল বসু ভারতের পুরাণ-মহাকাব্য অবলম্বনে অসাধারণ সব ছবি এঁকেছিলেন। “সেকিউলার দেশের সংবিধানে কেন হিন্দু দেবদেবীদের পুরাণ-মহাকাব্য অনুযায়ী ছবি আঁকা হবে? এটা হিন্দু আগ্রাসন” জাতীয় কথা তিনি কখনো বলেননি।

বাবাসাহেবের জন্মদিন এলেই যেভাবে কমরেড আর ওয়াহাবিরা, বাবাসাহেবের জীবনী, কাজ, লেখাকে বিকৃত করে, তাঁকে নিজেদের এজেন্ডা পূরণের জন্য ব্যবহার করেন, সেই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এই সত্যগুলো সকলের জানা দরকার। বাবাসাহেবের সঙ্গে বাম-ওয়াহাবিদের ভারতবিরোধী চীন-পাকিস্তানি এজেন্ডার বিন্দুমাত্র কোন সম্পর্ক নেই। তাই তাঁদের অপপ্রচারে কখনোই বিভ্রান্ত হবেননা।

Deep Chatterjee

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.