এনআরএস হাপাতালের জুনিয়র ডাক্তারের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ ও অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভ রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে দেশজুড়ে। আর তাই এই পরিস্থিতির যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়ে হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন কোথাও যেন ডাক্তারদের উপর হামলা না হয়। যদি হামলা হয়, তাহলে যেন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এমনই আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রয়োজন পড়লে আইনে পরিবর্তন করারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিঠি লিখে জানিয়েছেন, “দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আইএমএর সদস্য ও অন্যান্য চিকিৎসকরা অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। অনেক চিকিৎসক ইস্তফা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে এই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি ধর্মঘটের চেহারা নিয়েছে।” এই পরিস্থিতিতে দিল্লির ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন গিয়ে ড. হর্ষবর্ধনের সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়ে কথাও বলেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিগড়ে যাচ্ছে। তার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটা ডাক্তারের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে সব রাজ্যকে। তিনি বলেন, “সব রাজ্যকে দেখতে হবে, ডাক্তারদের উপর যেন হামলা না হয়। যদি তা হয়, তাহলে যেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
এই চিঠির মাধ্যমে সব রাজ্যের চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর্জি জানিয়েছেন, ডাক্তার ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য দরকার পড়লে যেন আইনে পরিবর্তন করা হয়। ড. হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, “ডাক্তাররা এই সমাজের খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের ডাক্তাররা গোটা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তাঁরা কাজ করেন। দিন-রাত কাজ করে সাধারণ মানুষের জন্য তাঁরা কাজ করেন। তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য ডাক্তারদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা খুবই জরুরী।”
শুক্রবার দিল্লি এইমস হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা এনআরএস হাসপাতালের এই পরিস্থিতির ব্যাপারে তাঁকে জানান। তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আর্জি জানান। তারপরেই এ দিন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে আর্জি জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।