ভোটের বাংলায় কাঁপুনি ধরাচ্ছে করোনা। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গোটা রাজ্যের মধ্যে করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে শহর কলকাতায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফের মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন (Micro containment zones), সেফ হোম (safe homes) ফিরছে শহরে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী কলকাতার আবাসনগুলিতেই সবেচেয়ে বেশি করোনা ছড়াচ্ছে।
শহর কলকাতায় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে কলকাতা পুরনিগমকে তৎপরতা বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরের যে এলাকাগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে সেগুলিকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার সব বরোগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
কোন কোন এলাকা থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সেগুলি দ্রুততার সঙ্গে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কলকাতার বরো ধরে ধরে করোনা-চিত্রের সার্বিক একটি রিপোর্ট পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কলকাতার আবাসনগুলি এবং জনবহুল বাজারগুলি থেকেই করোনা সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে। তবে সংক্রমণ মোকাবিলায় পুরোদমে কাজ করছেন পুরসভার কর্মীরা।
নির্বাচনের বাংলায় সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার করোনা নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান চোখ কপালে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। নতুন করে একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮১৭ জন। একদিনে রাজ্যে করোনার বলি ২০।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় যে রাজ্যে রীতিমতো বেসামাল বাংলা। রাজ্যের মধ্যে করোনা সবচেয়ে বেশি দাঁত ফুটিয়েছে শহর কলকাতাতেই। একদিনে মহানগরীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২৭১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধেয় স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী গোটা রাজ্যে একদিনে করোনার জেরে যে পরিমাণ মৃত্যু হয়েছে তার অর্ধেকেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে কলকাতাতেই।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্টও। সংক্রমণে লাগাম পরাতে নির্বাচনী জমায়েতে এবার রাশ টানল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচনী জমায়েত রুখতে জেলাশাসক ও নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে মত হাইকোর্টের। উচ্চ আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করতে পারে কমিশন। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)-এর নির্দেশনামা জেলাশাসক ও নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো হয়েছে।