করোনা বেড়েই চলেছে রাজ্যে। এমন পরিস্থিতি আদালতে সশরীরে হাজিরার বদলে ভার্চুয়াল শুনানির পথেই হাঁটতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল। সেখানে বলা হয়েছে, আদালতে হাজিরা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করতে হবে। মামলার যাবতীয় শুনানি হবে ভিডিও কনফারেন্সেই।
রেজিস্টার জেনারেল জানিয়েছেন, আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে কলকাতা হাইকোর্টে যাবতীয় মামলার শুনানি হবে অনলাইনে। বিচারপতিরা বাড়িতে বসেই মামলার রায় দেবেন। আইনজীবী ও অন্যান্য কর্মচারীদের হাজিরা কমিয়ে ৬০ শতাংশে আনা হবে। কোনও আইনজীবীর সর্দি-কাশি বা জ্বরের উপসর্গ দেখা গেলে তিনি আদালত চত্বরে ঢুকতে পারবেন না। অনেক সময়েই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য সরকারি কৌঁসুলিদের বিচারপতির চেম্বারে আসতে হয়। কিন্তু কোনওরকম উপসর্গ থাকলে আদালতে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। যে কর্মীরা কাজ করবেন, তাঁদের শিফট প্রয়োজনে বদলে দিতে হবে। আদালতের কক্ষে ও আদালত চত্বরে মাস্ক বাধ্যতামূলক, সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মানতে হবে কর্মীদের এবং স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে।
নতুন নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, হলফনামায় সই করার কাজ না থাকলে বা বিচারপতিরা তলব না করলে মামলাকারীরাও আদালত চত্বরে ঢুকতে পারবেন না। ১৬ তারিখের পর থেকে কোনও নতুন মামলা রুজু করতে হলে তা দীর্ঘমেয়াদী করা যাবে না। সংক্রমণের পরিস্থিতি বিচার করেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, খুব দ্রুত যাতে মামলার নিষ্পত্তি হয় সেটা দেখতে হবে। প্রয়োজনে তাড়াতাড়ি বয়ান দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু কলকাতা হাইকোর্ট নয়, শিলিগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ ও পোর্ট ব্লেয়ারের সার্কিট বেঞ্চেও একই নিয়ম চালু হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের নিম্ন আদালত ও জেলা আদালতগুলিতেও ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হবে বলে সূত্রের খবর।
বিচারব্যবস্থা সচল রাখতে দু’দফায় আদালত বসবে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সওয়া ১টা অবধি, আবার দুপুর ২টো থেকে ৩টে অবধি। দ্বিতীয় ধাপেই ভার্চুয়াল শুনানি হবে।