আন্দোলনের পথে পা বাড়াতে হবে না। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করবে। এবং পাহাড়ের ১১ জনজাতি গোষ্ঠীর তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতিও দেবে। আজ দার্জিলিংয়ের লেবং গোর্খা স্টেডিয়ামে জনসভায় যোগ দিয়ে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
একুশের নির্বাচনে পাহাড়ের তিন আসনে মূলত এই দুই ইস্যুকে সামনে রেখেই লড়ছে রাজনৈতিক দলগুলো। পাহাড়বাসীর দীর্ঘদিনের এই দুই দাবি কেন্দ্র মেটাবে এই প্রতিশ্রুতি ২০১৬-এর বিধানসভা এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আজ হবে, কাল হবে বলে ঘোষণা করে এসছে কেন্দ্র। বাস্তবে কিছুই মেলেনি। আর তাই বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে লড়ছে বিমল গুরুংয়ের মোর্চা। একাধিক সভায় গুরুং স্পষ্টত বলে এসছেন, বিজেপির প্রতিশ্রুতিই সার। সমাধান আজও হয়নি। গোর্খাদের সঙ্গে স্রেফ ভোটের রাজনীতি করে আসছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধেই এবারে পাহাড়ে ভোট যেখানে বিজেপিকে বিদায় জানাবে পাহাড়বাসী। আর তাই আজকের জনসভা মঞ্চ থেকে নাম না করে গুরুংদের বার্তা দেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ বলেন, বিজেপিই একমাত্র দল যারা পাহাড়বাসীর যাবতীয় সমাধান করতে পারবে। কংগ্রেস, বাম এবং তৃণমূল আমলে পাহাড়ের কোনও উন্নয়ন হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৭ দিনের মধ্যে ২০১৭-এর আন্দোলনের সময়ে যারা জেলবন্দী হয়েছেন, তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। দার্জিলিং পুরসভাকে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে উন্নীত করা হবে।
গোর্খাদের মন জয় করতে তিনি এও বলেন, পাহাড়ের দীর্ঘদিনের সমস্যা হল পানীয় জলের। বিজেপি সরকারে এলে ৬০০ কোটি টাকা ব্যায়ে জল প্রকল্পের কাজ করবে। পাশাপাশি এনআরসি ইস্যুতে তিনি বলেন, এখন বাংলায় তা চালু করার কোনো পরিকল্পনা নেই। যদিও বা হয়, তাহলে একজন গোর্খারও এর শিকার হতে হবে না।
অস্তিত্ব টলমল, তবুও পাহাড়ে এসেও আত্মপ্রত্যয়ী অমিত শাহের যুক্তি, ২০০-এর বেশি আসন নিয়ে এবারে বাংলার মসনদে বসবে বিজেপি।