শীতলকুচি থেকে শিক্ষা! রাজ্যের পঞ্চম দফা নির্বাচনে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করছে কমিশন (Election Commission)। সূত্রের খবর, ১৭ এপ্রিল রাজ্যের পঞ্চম দফায় ছয় জেলায় ৪৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে মোট ১০৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার মধ্যে ৮৫৩ কোম্পানি থাকবে শুধুমাত্র ভোটের কাজে।
কমিশন সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত পুলিশ জেলায় থাকবে ৬৯ কোম্পানি, বারাকপুরে ৬১ কোম্পানি, বসিরহাটে ১০৭ কোম্পানি, এছাড়াও বিধাননগরে ৪৬ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন থাকবে। পাহাড়ের ভোটের রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনী। জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে ৬৮ কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে ১২২ কোম্পানি, কালিম্পংয়ে ২১ কোম্পানি ও শিলিগুড়িতে ৫৩ কোম্পানি আধা ফৌজ রাখা হবে। এছাড়াও নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ১১ ও রানাঘাটে ১৪০ কোম্পানি আধাসেনা থাকবে। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানে ভোটের নিরাপত্তায় থাকবে মোট ১৫৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কমিশন সূত্রে আরও খবর, এই দফায় সেক্টর অফিসের সংখ্যা ৬৯০। প্রতিটি সেক্টরে অফিসে একজন এসআই বা কিংবা এএসআই (ASI) পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক দায়িত্বে থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন চারজন কনস্টেবল। পঞ্চম দফার প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতে এদিন সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির সঙ্গে দফায় দফায় ভিডিও কনফারেন্স করে কমিশন। যাবতীয় প্রস্তুতির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে খবর। সূত্রের খবর, পরবর্তী দফায় যাতে শীতলকুচির মতো কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। বাহিনীকে আরও ধৈর্য রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
পাশাপাশি এদিন বারাসত ও বারাকপুরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যে নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। বেশ কয়েক দিন ধরে বারাকপুর এলাকা অশান্ত। পাশাপাশি এই দফায় যেসব এলাকায় ভোট রয়েছে, সেগুলির অতীত ইতিহাস ভাল নয়। গত লোকসভা (Lok Sabha) নির্বাচনেই ১৪৪ ধারায় ভাটপাড়ায় পুনর্নির্বাচন সারতে হয়েছিল কমিশনকে। পাশাপাশি এবার রাজারহাট-নিউটাউন, শাসন, দেগঙ্গা, বসিরহাটের মতো হিংসাপ্রবণ বা কমিশনের ভাষায় ‘সুপার সেনসিটিভ’ এলাকায় নির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে অবিলম্বে সমস্ত সম্ভাব্য গোলমালকারীদের গারদে পোরার পাশাপাশি সম্ভাব্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।