কোভিড রোগীদের উপর রেমডেসিভিরের কার্যকারিতার কোনও প্রমাণ নেই: WHO

করোনার জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও এখনও কোনও ওষুধ আসেনি বাজারে। অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির-ই কাজ চালাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে হাসপাতালে যে সব করোনা রোগীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা যে রেমডেসিভিরের ফলেই ঠিক হচ্ছে এমন কোনও সঠিক প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি।

WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্যা স্বামীনাথন ও কোভিডের টেকনিক্যাল টিমের লিডার ড. মারিয়া ভ্যান কেরখোবে সোমবার বলেছেন, আগে ৫টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে রেমডেসিভির কখনও হাসপাতালের করোনা রোগীর মৃত্যুহার কমাতে পারে না। এটি মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে না। আগের রেমডেসিভিরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উপর ভিত্তি করে স্বামীনাথম বলেছেন, “যে সব প্রমাণ এখন উপলব্ধ রয়েছে তার ভিত্তিতে, প্রায় পাঁচটি পরীক্ষা হয়েছিল। এই পরীক্ষাগুলি দেখিয়েছিল যে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের রেমডেসিভিয়ার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের মৃত্যুর হার কমেনি। এমনকী এই ওষুধ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির সময়কালও কমায়নি। এটি রোগের অগ্রগতিকে প্রভাবিত করে না।”

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উপর ভিত্তি করে WHO নির্দেশিকা জারি করেছে। গত বছর হাসাপাতালের যে সব করোনা রোগীদের উপর রেমডেসিভির প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের রিপোর্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে এই নির্দেশিকা। WHO-র টেকনিক্যাল লিডার ড. মারিয়া ভ্যান কেরখোবে বলেছেন, “আমরা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি কোভিড রোগীদের জন্য রেমডেসিভিরের ব্যবহারের শর্তসাপেক্ষে করতে বলেছি। রোগের তীব্রতার উপর এটি কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে তা নিয়ে প্রমাণের অভাব রয়েছে। তবে আমরা ক্রমাগত ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলির দিকে নজর রাখছি। যে কোনও তথ্য যা নির্দেশিকাকে আপডেট করতে পারে সেগুলোর দিকে নজর রাখছি আমরা।”

ভারতেও বর্তমানে করোনার চিকিৎসায় রেমডেসিভির ব্যবহার করা হচ্ছে। হঠাৎ এই ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারত সরকার এই ওষুধের রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এছাড়া অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টসের রপ্তানির ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ক্রমাগত রেমডেসিভিরই প্রেসক্রাইব করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.