শুক্রবার সন্ধ্যায় পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে মল্লিকবাজার ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এনআরএস-এর আহত ইন্টার্নকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন বলে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে হাসপাতাল চত্বর। হাজির হয়েছেন পুলিশের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এলাকার ট্র্যাফিক ব্যবস্থাও। যাতে কোনও যানজটের সৃষ্টি না হয়।
যদিও ঘটনার পর ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে ৫ দিন। এতদিনে কেন মুখ্যমন্ত্রী একবারও পরিবহকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এর আগে অবশ্য স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য গত মঙ্গলবার আহত ইন্টার্নকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
ইটের আঘাতে মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোব ভেঙেছিল এনআরএস-এর ইন্টার্ন পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার রাত থেকে মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে ভর্তি ছিলেন ডোমজুড়ের বাসিন্দা এই তরুণ। মৃত্যুকে ছুঁয়ে ফিরে এসেছেন বছর ২৬-এর পরিবহ। দু’ঘণ্টার অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরিবহও নিজেও বলেছেন তিনি ভালো আছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছিল সেই ভিডিও।
গত সোমবার রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল নীল রতন সরকার হাসপাতাল। মৃত্যু হয় ৮৫ বছরের মহম্মদ সাহিদের। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনে রোগীর পরিবার। নিমেষে হাসপাতালের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্বর। রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে ইটের আঘাতে মাথার খুলিতে গুরুতর চোট পান পরিবহ।
দু’দিন আগে আইটিইউ থেকে বের করে কেবিনে শিফট করা হয়েছে পরিবহকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে কবে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।