তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ এনে সরাসরি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামানত বাজেয়াপ্ত করার ডাক দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার বাংলায় তিনটি সভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। বর্ধমান, কল্যাণীর সভার পর মোদীর কপ্টার যখন বারাসতে নামল তখন প্রায় বিকেল। প্রবল গরমের মধ্যেও দেখা যায় মোদীর সভায় প্রায় তিল ধারণের জায়গা নেই। হাওয়ায় যা না হলকা তার চেয়ে বোধহয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মোদীর আক্রমণের তাপমাত্রা ছিল আরও বেশি।
এদিন মোদী বলেন, “চাল চোরদের চেনেন তো আপনারা? ওদের থেকে মুক্তি চান তো?” গোটা মাঠ তখন মোদীর প্রশ্নের জবাবে জানান দিচ্ছে, তাঁরা মুক্তি চান। এরপরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনার সময়ে কেন্দ্র চাল আর চানা পাঠিয়েছিল। দিদির লোক সব লুঠ করল। আমফানের সময় চাল পাঠালাম, দিদির লোক সেটাও লুঠ করে নিল।” এরপরেই মোদী বলেন, “গরিব মানুষের কাছে এই চাল পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল খাদ্যমন্ত্রীর। তিনি আবার এই এলাকারই লোক। এবার এদের শুধু হারালে হবে না। জামানত যেন না থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরে ঘরে গিয়ে বলতে হবে, এরা গরিব মানুষের চাল লুঠ করেছে।”
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাবরা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। আগামী ২২ এপ্রিল, ষষ্ঠ দফায় এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। বিজেপি এবার সেখানে দাঁড় করিয়েছে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাকে। পঞ্চম দফার প্রচারে এসে ষষ্ঠ দফার আসন নিয়েও প্রচার কার্যত এগিয়ে রেখে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদীর এই বক্তব্য নিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করা হয়েছিল। তবে তিনি প্রচারে ব্যস্ত থাকায় ফোন ধরেননি। পরে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।
প্রসঙ্গত, এই চাল ও রেশন দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বাংলায় কম তোলপাড় হয়নি। আমফান পর্বে রেশন দুর্নীতি তথা চাল চুরির অভিযোগ সামনে আসার পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেছিলেন, যা চলছে তা যদি এখনই না বন্ধ করা যায় তাহলে এই রেশন দুর্নীতি অতীতের সমস্ত দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যাবে। এদিন মোদী যেন সেটাই আরও একবার উসকে