শীতলকুচির ঘটনায় কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। এদিন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পর বিজেপির কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, শীতলকুচিতে যে ঘটনা চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন যা ঘটেছে তা অপরাধ। গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে বিজেপির তরফে আঙুল তোলা হয়েছে।
বিজেপির তরফে এও বলা হয়েছে গোটা ঘটনাকে তৃণমূল যেভাবে ব্যাখ্যা করেছে তা অপরাধ। তাই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙা হয়েছে বলেও দাবি বিজেপির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বলেছেন, MCC- মানে ‘মডেল কোড অফ কনডাক্ট নয়, মোদী কোড অফ কনডাক্ট!’ সেই কথা তুলে নাকভি এদিন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুনখারাপির খেলা খেলছিলেন। তাতে বাধা পড়েছে। যেভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হওয়া উচিত, তার জন্য নির্বাচন কমিশন যা করছে তা ভয়মুক্ত হয়ে নির্বাচন হওয়ার প্রচেষ্টা করছে। তিনি এদিন আরও বলেন, শীতলকুচিতে শুধু মাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে বাধা দিচ্ছে তা নয়। কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে ৭২ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক দলই সেখানে যেতে পারবে না। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে লাগছে কেন? তার মানে নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও সমস্যা হচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমোর।
শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচনে শীতলকুচির একটি বুথে চলে গুলি। গুলি চালানোর অভিযোগ ওটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহতের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ৭২ ঘণ্টা শীতলকুচিতে ঢুকতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল। ফলে বাতিল করতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সফর। যদিও কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শীতলকুচির নিহত পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছেনন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন তিনি ৭২ ঘণ্টা পরে সেখানে যাবেন। তবে কোনও মিছিল হবে না বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে চতুর্থ দফার নির্বাচনে অশান্তির পরদিনও থমথমে পরিস্থিতি শীতলকুচিতে। এর মধ্যেই বেলাকোবায় উদ্ধার হল তাজা বোমা। গতকাল রাতেও চলে বোমাবাজি। সকালে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশষ বোমা উদ্ধারের পর বেড়ে যায় উত্তেজনা। অবরোধ হয় রাজ্য সড়ক। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় মোতায়েন হয় ব়্যাফ ও পুলিশ।