রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ আগামী শনিবার। গত কয়েক দফার মতো সেই দিনও রাজ্যে প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে সোমবার আসছেন ৩ কর্মসূচি নিয়ে। এটাই বাংলায় একদিনে তাঁর সর্বাধিক সভা। প্রথমে পশ্চিম বর্ধমানের তালিত-এ সোমবার সভা মোদীর। এর পরে নদিয়ার কল্যাণী ও উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে ২টি সমাবেশে থাকবেন তিনি।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি যে ৪ দফার ভোটগ্রহণ রয়েছে, তার আগে মোট ৪ বার রাজ্যে আসবেন মোদী। সোমবারের ৩টি সভার পরে ১৭ এপ্রিল, শনিবার পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের দিনে তাঁর সমাবেশ হওয়ার কথা পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। ২২ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণের দিনও দু’টি সভা হওয়ার কথা মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে। তবে এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণের দিনে রাজ্যে কোনও কর্মসূচি থাকছে না মোদীর। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তাঁর শেষ বাংলা সফর ২৪ এপ্রিল, শনিবার। সে দিন সভা হওয়ার কথা দক্ষিণ কলকাতা ও বোলপুরে।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে মোদীর প্রচার পর্ব শুরু হয়ে যায় ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই। প্রথম সভাটি ছিল হলদিয়ায়। ৭ ফেব্রুয়ারির সেই সভার পরে ওই মাসেরই ২২ তারিখ হুগলির সাহাগঞ্জে সভা করেন। এর পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ৭ মার্চ কলকাতার ব্রিগেডে সমাবেশ করেন মোদী। এর পরে আর কলকাতায় আসেননি তিনি। কিন্তু একের পর এক সভায় প্রায় গোটা রাজ্যে প্রচার চালিয়েছেন।
মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ভোট প্রচারে ঘন ঘন বাংলা সফর শুরু হয় মোদীর। ১৮ মার্চ পুরুলিয়ায়, ২০ মার্চ খড়্গপুরে, ২১ মার্চ বাঁকুড়ায়, এবং ২৪ মার্চ কাঁথিতে সভা করেন। আর ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরে সভার সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন তিনি বাংলাদেশ সফরে ছিলেন। দ্বিতীয় দফার দিনে ১ এপ্রিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ও হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় সভা করেন মোদী। তৃতীয় দফার দিন, অর্থাৎ ৬ এপ্রিল সভা ছিল কোচবিহার ও হাওড়ার ডুমুরজলায়। আর চতুর্থ দফার দিন মোদী সভা করেন শিলিগুড়ি ও কৃষ্ণনগরে। বিজেপি সূত্রে যা জানা গিয়েছে তাতে, এখনও ৯টি সভা হবে তাঁর। আর সেই হিসেবে নীলবাড়ির দখল পেতে মোট ১৪টি সফরে ২২টি সভা করতে চলেছেন মোদী।
বাংলা জয়ের লক্ষ্যে একা মোদী নন, রাজ্যে বার বার আসছেন অমিত শাহ, জেপি নড্ডারা। এসেছেন বিজেপি-র আরও অনেক শীর্ষ নেতৃত্ব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এসেছেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। তবে সভার সংখ্যার হিসেবে মোদীর থেকেও এগিয়ে শাহ, নড্ডা। তাঁরা অনেক রোড-শো করেছেন বিভিন্ন জেলায়।