মারা গেলেন গণপিটুনিতে মৃত পুলিশ ইনস্পেক্টরের মা, একসঙ্গে সম্পন্ন হল দু’জনের শেষকৃত্য

ছেলের মৃত্যু সইতে না পেরে মারা গেলেন গণপিটুনিতে হত কিষানগঞ্জের পুলিশ ইনস্পেক্টর অশ্বিনী কুমারের মা উর্মিলা নাদেবী। রবিবার পূর্ণিয়ায় দু’জনের একইসঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।  

বাইক চুরির ঘটনায় শনিবার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গোয়ালপোখরে এসেছিল কিষানগঞ্জ পুলিশের একটি দল। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন অশ্বিনী। সঙ্গে ছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি বাহিনীও। তল্লাশির সময় পুলিশকে ঘিরে ফেলে একদল উন্মত্ত জনতা। গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের দলের বাকি সদস্যরা কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে সক্ষম হন। ময়নাতদন্তের পর দেহ অশ্বিনীর দেহ ষানগঞ্জ পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সহকর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। বাড়িতেও পৌঁছায় অশ্বিনীর মৃত্যুর খবর। আর সেই খবর সইতে না পেরে মৃত্যু হয় অশ্বিনীর মায়ের। রবিবার পূর্ণিয়ায় মা এবং ছেলের একইসঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। অশ্বিনীর দুই মেয়ে এবং এক ছেলে আছে।

এদিকে, পুরো অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও তোলা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিহার পুলিশের এক আধিকারিক জানান, গণপিটুনির ঘটনায় প্রাথমিকভাবে খুনের মামলা রুজু করছিল না গোয়ালপোখর থানার পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হচ্ছিল। পরে বিহার পুলিশের চাপে খুনের মামলা দায়ের করা হয় বলে দাবি করেছেন পুলিশ আধিকারিক। খুনের মামলা দায়ের হওয়ার পর তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এক পুলিশকর্তা বলেছেন, ‘দুই ভাই এবং তাদের মা’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.