মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড় দেওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করল আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা৷
শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় দিয়েছে নবান্ন৷ আলোচনার রফাসূত্র বার করতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আজ দেখা করেন সিনিয়র পাঁচ চিকিৎসক৷ আগামীকাল ফের নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করবেন৷
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজি হলে সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি বলে জানিয়েছেন ওই পাঁচ সিনিয়র চিকিৎসক৷
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্নে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে শুক্রবার রাতের দিকে এনআরএস হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র।
এরপরই আন্দোনকারী চিকিৎসকদের একাংশ নবান্নে গিয়ে আলোচনার ব্যাপারে রাজি নয় বলে জানিয়ে দেন৷ তাদের কথায়, ‘‘আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে৷ আর কোনও জায়গা নেই৷ আন্দোলনের জন্য ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা৷ যখন রোগীরা হাহাকার করছেন পরিষেবা পাওয়ার জন্য৷ তখন উনি সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হননি৷ উলটে ভয় দেখিয়েছেন এসমার কথা বলে৷ কটূক্তি করেছেন৷ এখন ডেকে পাঠানোর কোনও মানে নেই৷ আমরা যাব না৷’’
তবেই এটাই শেষ কথা নয়৷ আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়, নিজেদের মধ্যে আলোচনা হবে৷ তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে আন্দোলনকারীদের তরফে৷
জটিলতা দূর করতেই এবার বিশেষ উদ্যোগি হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে তিন থেকে চার জনের একটি প্রতিনিধি দলকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছেন মমতা। সেখানেই সমস্যার সমাধানের জন্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গিয়েছে৷ কারণ এদিন নবান্নে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে দেখেই বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা৷