প্রতিদিন নতুন রেকর্ড। শুক্রবারের করোনা আক্রান্তের সংখ্যাকে পিছনে ফেলে দিল শনিবারের পরিসংখ্যান। ফের রেকর্ড তৈরি হল। স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ অতিক্রম করেছে।
শনিবার রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে দেশে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তো বটেই। প্রথম পর্যায়েও এত আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৩৯ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৯০ হাজার ৫৮৪ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮০৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ২০ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৪৩ জন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার এখনও অনেকটাই কম। আর এটাই রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞদের। দেশে এখন অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১১ লক্ষ ০৮ হাজার ৮৭। এখনও পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৭৫ জনের। ১০ কোটি ১৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ১৪৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
করোনা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে। তারপর রয়েছে রাজস্থান, দিল্লি, কর্ণাটকের মতো রাজ্য। করোনা সংক্রমণ এড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি সরকার। একসঙ্গে অনেক লোক এক জায়গায় ভিড় করার ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। রেস্তরাঁ, বার ও সিনেমা হলগুলি ৫০ শতাংশ সিটিং ক্যাপাসিটি নিয়ে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাস ও মোটরও অর্ধেক সংখ্যার যাত্রী নিয়ে চালানো যাবে। বেশি যাত্রী তোলা যাবে না। সমস্ত সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে। শুধু যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগীতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরাই সেখানে সাঁতার কাটতে যেতে পারবেন। খেলার জন্য স্টেডিয়াম খেলা থাকবে কিন্তু সেখানে কোনও দর্শক উপস্থিত থাকতে পারবে না।
ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে উত্তর প্রদেশেও। মুখ্যমন্ত্রী যোগ আদিত্যনাথ রাজধানী লখনউয়ের পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, এক সঙ্গে পাঁচজনের বেশি লোককে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না।এছাড়াও বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ববিধি অনুসরণ করে চলতে হবে। মথুরা জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে নাগরিকরা মাস্ক না পরে জেলার মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে না। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নবনিত সিং চাহাল বলেছেন যে, কাউকেই মাস্ক ছাড়া মথুরা, বৃন্দাবন, গোবর্ধন, বারসানা এবং অন্যান্য মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।মন্দিরে প্রবেশের সময় সকলকে কোভিড -১৯ এর বিধি অনুসরণ করতে হবে।