দেশে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।করোন ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে ‘টিকা উৎসব ‘ আজ থেকে গোটা দেশে শুরু হবে।সর্বোচ্চ সংখ্যক যোগ্য লোককে টিকা দেওয়াই হল এই অভিযানের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে এই বিশেষ টিকাদান অভিযান শুরু হবে এবং ১৪ এপ্রিল শেষ হবে।
উল্লেখ্য, ১০ কোটি টিকা দেওয়া প্রথম দেশ হল ভারত। ৮৫ দিনের মধ্যে এই গণ্ডি পার করল ভারত। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিনের মতো দেশকে পিছনে ফেলে দিল ভারত। উল্লেখ্য, ভারতে টিকাকরণ শুরু হয়েছিল ১৬ জানুয়ারি। দৈনিক হারে ভারতে প্রায় ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ করোনা টিকা পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি গ্রাফ টুইট করে বলা হয়েছে যে, ভারত টিকাকরণে দ্রুততম দেশ হিসাবে উঠে এসেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এই মাইলফলক ছুঁতে পেরেছে। এটিই ভারতকে স্বাস্থ্যকর এবং কোভিডমুক্ত ভারত গড়তে মুখ্য ভূমিকা নেবে।
বিহার, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যে যোগ্য ব্যক্তিদের ‘টিকা উৎসব’-এ অংশগ্রহণ নেওয়ার জন্যে আবেদন করা হয়েছে। এই উৎসব টানা চার দিন চলবে।
যদিও কিছু রাজ্য ভ্যাকসিনের অভাব দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, সমস্ত রাজ্যগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে। বেশিরভাগই রাজ্য সমস্ত যোগ্য সুবিধাভোগীকে টিকা দিতে অক্ষম হচ্ছে।
অপরদিকে কেন্দ্রের অনুমতি নিয়ে আজ থেকে সরকারি বেসরকারি সমস্ত অফিসের কর্মীদের টিকাকরণ শুরু হবে। তবে কেবল ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সের কর্মচারীরা টিকা দিতে পারবেন এবং যোগ্য পরিবারের সদস্যরা সহ বহিরাগতরা কর্মস্থলে টিকা নিতে পারবেন না।সরকার এই টিকা উৎসবের জন্য রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি দিনদিন চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে ৷ সমস্ত রাজ্যের মুখমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, যাতে টিকার সর্বাধিক ও যথাযথ ব্য়বহার সম্ভব হয়৷ সেইজন্যে আগামী ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল প্রতিটি রাজ্য়ের ‘টিকা উৎসব’ পালন করা উচিত৷