কৃষ্ণনগরে নির্বাচনের আগে সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে একহাত নেন তিনি। এদিনের সভা থেকে খেলা শেষ হওয়ার স্লোগান তোলেন মোদী।
এদিন জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এখন শুধু বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন। তিনি সাধারণ মানুষকেও ভয় পাচ্ছেন। কারণ সাধারণ মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু তিনি সাধারণ মানুষের মমতা যাদের বিশ্বাস ভেঙেছেন। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থান নেই বলেও বলেও মন্তব্য করেন মোদী। বলেন, দিদি এই রাজ্যকে বেকারত্ব আর অপমান দিয়েছেন। তাই তারা তৃণমূলের বিরোধিতা করছে। কাটমানি ও সিন্ডিকেট নিয়ে বিরক্ত মানুষ। বেকারত্ব নিয়েও নিরাশ মনুষ। তারা তাই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের পাশ থেকে সরে এসেছেন। আর সেই কারমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে তাঁদের কাছে বারবার ভোট দেওয়ার আবেদন করতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, বাংলার মহিলারা অনেক শক্তি দিয়েছিল দিদিকে। কিন্তু যখন তাদের সামনেই তাদের স্বামী, দাদা, ভাই, ছেলেদের অত্যাচার করা হয়, তারা বিরোধিতা করে। তাই তারাও আজ মমতার পাশ থেকে সরে গিয়েছে। রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, সরকারি প্রকল্প অর্ধেকও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছয় না। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কাটমানি দিতে হয়। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কট্টরপন্থীদের সমর্থনকারী বলেও কটাক্ষ করেন মোদী। বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তিন তালাক তুলে দিয়ে মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দিদি তাদের চেয়ে বেশি কট্টরপন্থীদের চিন্তা করছেন। ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই এমন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর আশ্বাস, ডবল ইঞ্জিন সরকার এলে এই সব সমস্যা মিটবে। মহিলাগের শিক্ষা, সুরক্ষা, রোজগারের ব্যবস্তা করবে বিজেপি সরকার। আগামী ৫ বছরে অনেক সুযোগ আসবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। কেন্দ্রীয় সুবিধা পবে বাংলা। গঙ্গার দারে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে সরকার। এদিনের সভা থেকে খেলা শেষ করার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।