Bengal Polls: শুরু হল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ, ৫ জেলার ৪৪ কেন্দ্রে একাধিক নজরকাড়া প্রার্থী, কড়া নিরাপত্তা

নীলবাড়ির লড়াইয়ে শনিবার, চতুর্থ দফায় ভোট শুরু হল রাজ্যের ৫ জেলার ৪৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে। কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে ওই কেন্দ্রগুলিতে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার ৯ এবং আলিপুরদুয়ারের ৫টি বিধানসভা আসনের সব ক’টিতেই ভোটগ্রহণ চলছে। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি, হাওড়া জেলার ১৬টির মধ্যে ৯টি এবং হুগলির ১৮টির মধ্যে ১০টি আসনেও ভোট হচ্ছে।

চতুর্থ দফার ভোটে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা আসন। রয়েছেন একঝাঁক তারকা প্রার্থীও। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন চক্রবর্তী এবং বৈশালী ডালমিয়ারও শনিবার পরীক্ষা। ডোমজুড়ে প্রার্থী রাজীব। বালি-তে বৈশালী এবং হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন প্রার্থী শিবপুরে। এ ছাড়াও রয়েছেন, সিঙ্গুরে বিজেপি-র প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, চুঁচুড়ায় বিজেপি-র প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, চন্দননগরে তৃণমূলের প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন, উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক এবং বিজেপি-র প্রবীর ঘোষাল। বেহালা পূর্বে তৃণমূলের প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপি-র প্রার্থী পায়েল সরকার। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপি-র শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।

উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও ভোট। ওই দুই জেলাতে রয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী। কোচবিহারের নাটাবাড়ি থেকে লড়ছেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দিনহাটার বিজেপি-র প্রার্থী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং কুমারগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী লিওস কুজুর।

২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ৩৯টি। বিজেপি-র হাতে মাত্র ১টি এবং বামেদের দখলে ৩টি আসন। আর তাদের জোট শরিক কংগ্রেসের ঝুলিতে ১টি আসন ছিল। অবশ্য ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফলের হিসাব অনেক বদলে গিয়েছে। এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২৫টি এবং বিজেপি ১৯টি কেন্দ্রে এগিয়ে। তবে সে সময় পৃথক ভাবে লড়াই করা বাম-কংগ্রেসের হাতে কোনও আসনই নেই।

চতুর্থ দফার ভোটে আরও কড়া নিরাপত্তার আয়োজন নির্বাচন কমিশনের। গত বুধবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব। সূত্রের খবর, ইভিএম নিয়ে গাফিলতি হলেই শাস্তির মুখে পড়তে পারেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা, সেই বার্তা দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। চতুর্থ দফায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে। শনিবারের ভোটে বুথে মোট ৭৯৩ কোম্পানি বাহিনী। কলকাতা পুলিশের এক্তিয়ারে থাকা এলাকায় বাহিনী ৯৪ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে ৯৬, কোচবিহারে ১৮৩, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে ৯৯, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় ৩৮, হাওড়া গ্রামীণে ৩৫ এবং বারুইপুর পুলিশ জেলায় ৪৪ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে থাকবে ৭৯ কোম্পানি। বাকি আধা সেনা নিযুক্ত ভোটের অন্যান্য কাজে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.