ভারতে হু হু করে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার। করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়ে দিলেন, “বিগত ৭ দিনের মধ্যে দেশের ১৪৯টি জেলায় নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।” একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “দেশে এই মুহূর্তে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,১৯,১৩,২৯২ জন। সুস্থতার হার ২-৩ মাস আগে ছিল ৯৬-৯৭ শতাংশ, তা এখন ৯১.২২ শতাংশে পৌঁছেছে।” শুক্রবার কোভিড-১৯ নিয়ে মন্ত্রীদের উচ্চ-পর্যায়ের ২৪ তম বৈঠকে অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। বৈঠকে হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, “বিগত ৭ দিনের মধ্যে দেশের ১৪৯টি জেলায় নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। বিগত ১৪ দিনে ৮টি জেলায় কেউ সংক্রমিত হননি এবং বিগত ২১ দিনে ৩টি জেলায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি।” স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে ভেন্টিলেটরে রয়েছেন চিকিৎসাধীন করোনা-রোগীর ০.৪৬ শতাংশ, আইসিইউতে ২.৩১ শতাংশ রোগী এবং অক্সিজেন-সাপোর্টেড বেডে ৪.৫১ শতাংশ রোগী। আমাদের সর্বশেষ বৈঠকে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১,৫৩,৮৪৭ এবং শুক্রবার মৃত্যুর সংখ্যা ১,৬৭,৬৪২-এ পৌঁছেছে। সেই সময় অতিরিক্ত ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং এখন সেই সংখ্যা ৭৮০।”
ভারতে করোনা-প্রকোপের মধ্যেই টিকাকরণ দ্রুততার সঙ্গে চলছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, “শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের ৯ কোটি ৪৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৬২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বিগত ২৪ ঘন্টায় ৩৬,৯১,৫১১ জনকে টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে একদিনে ৪৩ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছিল। সম্ভবত সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সের মধ্যে যাঁরা, এমন ২.৬১ কোটির বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে এবং ৫,২৩,২৬৮ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এমন ৩.৭৫ কোটির বেশি মানুষকে প্রথম দফার ডোজ দেওয়া হয়েছে এবং ১৩ লক্ষের বেশি মানুষকে দ্বিতীয় দফার ডোজ দেওয়া হয়েছে।” স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, “৮৯ লক্ষের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী টিকার প্রথম দফার ডোজ নিয়েছেন এবং ৫৪ লক্ষের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী দ্বিতীয় দফার ডোজ নিয়েছেন।”দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশেও টিকা পাঠিয়েছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, “এখনও পর্যন্ত ৮৪টি দেশে ৬.৪৫ কোটি টিকার ডোজ রফতানি করেছি আমরা। যার মধ্যে অনুদান হিসেবে ৪৪টি দেশকে ১.০৫ কোটি ডোজ, বাণিজ্যিক চুক্তি হিসেবে ২৫টি দেশকে ৩.৫৮ কোটি ডোজ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স ফেসিলিটির মাধ্যমে ৩৯টি দেশকে ১.৮২ কোটি ডোজ।”
2021-04-09