স্বীকার করে নিতে হবে, এত দিন সরাসরি কোনো তৌহিদি পার্টি ময়দানে আসেনি বলেই কষ্ট করে ভোটটা দিতে যাননি বামপন্থীদের চোখের মণি সেকুলার-পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি আল-কোরাইশী

এত দিন ভোট দেননি কেন?

উত্তরে আব্বাস প্রথমে বলেন, ‘‘আমার দেশ বা আইন ব্যবস্থা জিজ্ঞাসা করলে অবশ্যই এর জবাব দেব। অন্য কাউকে জবাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আমার নেই।’’

পরে যোগ করেন, ‘‘পঞ্চায়েতে ভোট দেওয়ার জন্য বেরিয়ে শোনা গিয়েছে, ভোট পড়ে গিয়েছে। যেখানে ভোটই হত না, সেখানে কী করে এবং কেনই বা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভোট দিতে যাব?’’


ভাইজানের বয়স ৩৪ বছর, ইকনমিক টাইমসের খবর অনুযায়ী। অর্থাৎ তিনি ভোটাধিকার পেয়েছেন আজ থেকে ১৬ বছর আগে, ২০০৫ সালে। এরপর রাজ্যে তিনটি বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে (২০০৬, ২০১১, ২০১৬), তিনটি লোকসভা নির্বাচন হয়েছে (২০০৯, ২০১৪, ২০১৯) এবং তিনটি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে (২০০৮, ২০১৩, ২০১৮)। এই নটি নির্বাচনের চারটি বাম আমলে, পাঁচটি তৃণ আমলে। একটিতেও ভাইজান ভোট দেননি, কারণ “ভোট হত না।”

হয় জোটসঙ্গীর এই অভিযোগ মেনে নিতে হবে যে বাম আমলেও ভোট হত না, ভোট পড়ে যেত। অথবা স্বীকার করে নিতে হবে, এত দিন সরাসরি কোনো তৌহিদি পার্টি ময়দানে আসেনি বলেই কষ্ট করে ভোটটা দিতে যাননি বামপন্থীদের চোখের মণি সেকুলার-পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি আল-কোরাইশী।

তবুরঙ্গেভরা

সংগৃহিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.