চতুর্থ দফা ভোটের আগে আরও সতর্ক কমিশন। সেই সঙ্গে বিশেষ ভাবে কোমর বেঁধেছে কলকাতা পুলিশও। কারণ রাত পোহালেই কলকাতা পুলিশের আওতায় দ্বিতীয় দফার ভোট। দক্ষিণ শহরতলি, বেহালা ও মেটিয়াবুরুজের কয়েকটি বিধানসভায় ভোটগ্রহণ হবে। সব মিলিয়ে কলকাতা পুলিশের ২৫টি থানা এলাকায় ভোট। ওই এলাকাগুলিতে যাতে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হয়, সে জন্য এখন থেকেই সেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।
জানা গেছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এখনও পর্যন্ত কলকাতায় এসে পৌঁছেছে ১০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই বাহিনীর মধ্যে একটি বড় অংশকেই কাজে লাগানো হবে শনিবারের ভোটে। বাকি অংশ কলকাতার বিভিন্ন অংশে রুট মার্চ করবে। সেই সঙ্গেই, ভোটের সময় কোনওরকম গোলমালের খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বাহিনীকে সেখানে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
প্রসঙ্গত, ভোটের মুখেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দক্ষিণ শহরতলির দু’টি থানার ওসিদের বদলি হয়েছে।
আগামীকাল কলকাতা পুলিশের আওতায় ৭২১টি ভোটকেন্দ্রের ২ হাজার ৩৪৩টি বুথে ভোট। যে এলাকায় ৯ বা তার বেশি সংখ্যক বুথ রয়েছে, সেখানে মোতায়েন করা হচ্ছে দুই সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী, পাঁচটি ও তার বেশি বুথ থাকলে দেড় সেকশন এবং দুই থেকে চারটি বুথ কোনও ভোটকেন্দ্রে থাকলে এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
শুধু বাহিনী নয়, ভোটের দিন শহরে নামছে প্রায় সাড়ে চার হাজার অতিরিক্ত পুলিশ। ৯৪টি কুইক রেসপন্স টিমে টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকবেন কলকাতা পুলিশ আধিকারিকরাও। ৩৩ জন ডেপুটি কমিশনারও রাস্তায় থাকছেন সকাল থেকে। এ ছাড়াও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকরাও অ্যালার্ট থাকছেন শহরের নানা প্রান্তে। কমিশন জানিয়েছে, ড্রোনের সাহায্যে আকাশপথে হবে নজরদারি। চলবে একাধিক জায়গায় নাকা চেকিং।