গত কয়েক মাস ধরা চলা টানাপোড়েন কাটিয়ে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছে ভারত ও চিন। তাই বৈঠকের সূত্রপাত। শুক্রবারের বৈঠকে ভারতীয় সেনা চাইছে ডেপসাং এলাকায় স্থিতাবস্থা ফিরুক। ২০১৩ সালের অচলাবস্থার জেরে ওই এলাকায় পেট্রলিং বন্ধ করে দিতে হয়েছিল ভারতীয় সেনাকে। সেই পরিস্থিতির বদল চাইছে ভারত।
স্ট্যান্ড অফ কাটিয়ে ভারত যাতে ওই এলাকায় টহল দিতে পারে, তার প্রস্তাব পিএলএ-র সামনে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে। গতবারের বৈঠকেও গোগরা, হট স্প্রিং, ডেপসাং থেকে চিনা সেনা সরানোর প্রস্তাব রাখা হয়। তবে তাতে বিশেষ আমল দেয়নি বেজিং। এবার এই ইস্যুর ওপর জোর দেওয়া হবে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে।
কেন গুরুত্বপূর্ণ আজকের বৈঠক ?
লাদাখ অঞ্চলে গরমকাল আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে বরফের গলন শুরু হয়। ফলে সীমান্তে এই সময় যাতায়াত করা বেশ সহজ। শুধু তাই নয়, এই সময় ধরেই চলে অন্য ভূখন্ডের ওপর দখলদারি। ২০২০ সালের জুন মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর বেশ সতর্ক ভারত। এই ধরণের কোনও পরিস্থিতি চাইছে না নয়াদিল্লি। তাই শুক্রবারের ভারত চিন বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এই ইস্যু নিয়েই ১১তম সামরিক স্তরের বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশ। দশম দফা বৈঠক হয়েছিল ২১শে ফেব্রুয়ারি। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে ভারতের তরফ থেকে প্যাংগং ছাড়াও লাদাখের অন্যান্য সীমান্ত এলাকা থেকে চিনা সেনা সরানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। ভারত জানিয়েছে গোগরা, হট স্প্রিং ও ডেপসাং এলাকাও খালি করে দিতে আগের মত। ২০২০ সালের মে মাসের আগের সেনা অবস্থানের চিত্রই ফের চাইছে ভারত বলে সূত্রের খবর।
গত এক বছর ধরে ভারত ও চিনের সম্পর্কের শৈত্যের প্রভাব পড়েছে সীমান্তে। মুখোমুখি বেশ কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও জড়িয়েছে দুই দেশ। তবে শেষ বৈঠকে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে নয়াদিল্লি – বেজিং। লাদাখের পাশাপাশি, দেপসাং ও গোগরা হাইটস থেকেও যাতে সেনা সরানো যায়, সেই প্রস্তাব রাখতে চলেছে ভারত। এই বিষয়ে চিনের সঙ্গে মৌখিক কথা হলেও, আনুষ্ঠানিক ভাবে এবারের বৈঠকে প্রস্তাব রাখা হবে ভারতের পক্ষ থেকে।