করোনা কালে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হল ভারত ও বাংলাদেশের। বাংলাদেশ সেনাকে এক লক্ষ করোনা ভ্যাকসিন উপহার দিল নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের হাতে তুলে দেন ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে।
ভ্যাকসিন পেয়ে ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান আহমেদ। তিনি এদিন জানান, যেভাবে করোনা পরিস্থিতিতে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা অভূতপূর্ব। জেনারেল আহমেদের আমন্ত্রণে ঢাকা সফরে যান ভারেতর সেনাপ্রধান নারাভানে। উল্লেখ্য দু সপ্তাহ আগেই বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সেদেশের সংবাদপত্র ঢাকা ট্রিবিউন জানাচ্ছে, দুই দেশের সেনা প্রধানদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় করা থেকে দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়। ভবিষত্যে যে কোনও রকম সমস্যায় দুদেশ একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে।
দুই সেনাপ্রধানের আলোচনায় উঠে আসে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়, আলোচনায় ছিল সেনা পাইলটদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামের আদানপ্রদানের মত ইস্যু। এই আলোচনার আগে ভারতের সেনাপ্রধান নারাভানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। পাঁচ দিনের সফরে ঢাকা গিয়েছেন নারাভানে।
এদিকে, বাংলাদেশে দুদিনের সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন আজ দুই দেশই একসঙ্গে অত্যন্ত দৃঢ় ভাবে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মোদী বলেন, ভারতে তৈরি টিকা বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে পৌঁছানোকে দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করেই ভারত কাজ করছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে যান। মোদীর বাংলাদেশ আগমনের প্রথম দিনই বিক্ষোভ আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সংগঠন ও হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভে চট্টগ্রাম ও ঢাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একাধিক বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। হেফাজতের ঘাঁটি চট্টগ্রামে দিনভর ছিল উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয় দফায় দফায়। বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ।