ভোটের বাজারে যেন এই দিকটায় নজরই পড়ছে না সকলের। অথচ পরিসংখ্যান দেখলে রীতিমতো আঁতকে উঠতে হয়! রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি এই মুহূর্তে বেশ খারাপই বলা যায়। তবে এবার নড়ে বসল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত বছরের মতো কড়াকড়ি এবং ব্যবস্থাপনা-সহ ফের কোমর বাঁধতে চলেছে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি।
সূত্রের খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলোকে কোভিড মোকাবিলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। গত বছর অক্টোবর মাসে করোনা মোকাবিলায় হাসপাতালগুলিকে যে ভূমিকা নিতে দেখা গেছে, সেই ভূমিকাই ফের নেওয়ার কথা বলে হয়েছে। বেড বাড়ানো থেকে শুরু করে, আলাদা বিভাগ করা, অক্সিজেনের জোগান– সমস্তটাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করে রাখতে হবে।
এর পাশাপাশি, ৫০% সরকারি কর্মচারীদের হাজিরার অর্ডার থাকলেও তাতে গত কয়েক মাসে একটু শিথিলতা দেখা গেছিল। এবার ফের পুরোপুরি ৫০% হাজিরার সেই পুরনো অর্ডার কড়া ভাবে বলবৎ করতে চলেছে রাজ্য। এ জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দফতর অর্ডারও জারি করছে।
এসবের পাশাপাশি সরকারের তরফে কোভিড নিয়ন্ত্রণে দশটা আলাদা সেল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি সেলে থাকছেন একজন করে সচিব অর্থাৎ আইএএস অফিসার। নবান্নের বিজ্ঞপ্তি বলছে, হাসপাতালের পরিকাঠামো, অ্যাম্বুল্যান্স, ভ্যাকসিন, কোভিড টেস্ট, রোজকার বুলেটিন– এই প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে দায়িত্ব নিচ্ছে এক একটি সেল।
আগামী ১০ তারিখ শনিবার চতুর্থ দফার ভোট। তার পরে সোমবার থেকেই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালগুলিকে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে দেখা যাবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।