আবাসিকদের উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির

৪ এপ্রিল, সিদ্ধা ওয়াটার ফ্রন্ট
রহড়ার পাতুলিয়া এলাকায় বৃহৎ আবাসন সিদ্ধা ওয়াটার ফ্রন্টে বলতে গেলে প্রথম ফেজ়ের কাজও সম্পূর্ণ নয় যদিও আইনত হস্তান্তর এমনকি রেজিস্ট্রি পর্যন্ত হয়ে গেছে। বাকি আছে ইন্টারকম নেট কানেকশন, মাল্টিলেভেল কার পার্কিং, এসি লেজ লাগানোর মতো একাধিক ফেসিলিটি। আর ক্লাব সুইমিং পুল, খেলার কোর্ট ইত্যাদি অ্যামিনিটিস্ তো অনেক দূরের বস্তু যা দ্বিতীয় ফেজ়ের কাজ শেষ হলে আংশিক পাওয়া যেতে পারে। এই নিয়ে আবাসিকদের একাংশ যথেষ্ট ক্ষুব্দ। কিন্তু তার মধ্যেই একজোট হয়ে পুজো পার্বণগুলো পালন করা চাই। ঠিক একজোট নয়, বলা যায় দু-তিনটি জোটে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মতো করে আনন্দ করেন।
এরই মধ্যে আবাসিকদের একাংশের উদ্যোগে ৪ঠা এপ্রিল রবিবার অনুষ্ঠিত হল একটি মেডিকেল ক্যাম্প। ব্যারাকপুরের একটি পরিচিত প্রাইভেট হাসপাতাল “ব্যারাকপুর সিটি হসপিটাল” থেকে জন্য দশেক চিকিৎসা কর্মী ও আধিকারিক করে গেলেন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
আবাসিকদের ওজন, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা, কমপ্লিট হিমোগ্রাম, ইসিজি, বোন ডেনসিটি ইত্যাদি পরখ করলেন চিকিৎসা কর্মীরা এবং উপযুক্ত উপদেশ দিলেন দুজন ডাক্তার — ডাঃ দেবাশিস সাহা ও ডাঃ হিমাংশু সিনহা। ছিলেন ডায়টিশিয়ানও। ব্যারাকপুর সিটি হসপিটালের একজন প্রশাসনিক ডাইরেক্টর রীতেশ্বর শিকদার জানালেন সেখানে একটি অপারেশনের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন সিদ্ধা ওয়াটার ফ্রন্ট আবাসিক তাপস বসু চৌধুরী। মূলত তাঁর উদ্যোগে ও অন্যান্য কিছু আবাসিকের সমবেত আয়োজনেই এই মেডিকেল ক্যাম্প।
প্রথম দিকে বাঙালীর চিরাচরিত গোষ্ঠী সংস্কৃতি একটু উঁকি মারলেও শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে ক্যাম্পটি সম্পন্ন হয়। মোট ১২৩ জন আবাসিক, ২৭ জন গৃহ পরিচারিকা ও ১৭ জন ফেসিলিটি স্টাফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৪০ বছর বা তার কম বয়সী ছিলেন ৬২ জন, ৪১-৬০ বছরের ছিলেন ৭৩ জন এবং ৬১ বছরের বেশি বয়সী ছিলেন ৩২ জন। সবমিলিয়ে মোট ১৬৭ জনের মেডিকেল চেকআপ হয় সকাল সাড়ে নটা থেকে বিকেল পর্যন্ত। গোষ্ঠী বিবাদ এই সাধু উদ্যোগে ছায়া ফেলতে পারেনি।
সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হলেও হাসপাতাল থেকে আগত চিকিৎসা কর্মী ও ডাক্তারদের আপ্যায়ন তথা মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য কেউ কেউ স্বেচ্ছায় সামান্য করে চাঁদা দেন।
উদ্যোগের পাশে থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সূচনা করেন সাহিত্যিক শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত আবাসিকদের এই দলটির কিছু উদ্যোগী ব্যক্তি দুই নম্বর ফটকের মুখে একবার বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচীও পালন করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.