“বেতন নিত, মারা গেছে, শহিদ নয়”; জওয়ানদের অপমান করে এবার গ্রেফতার এক বুদ্ধিজীবী। ছত্তীসগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে; দেশের ২২ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। যে ঘটনা পুরো দেশজুড়ে; শোকের ছায়া ফেলেছে। এই ঘটনায় পুরো দেশ ব্যথিত হলেও; বামপন্থী ও বুদ্ধিজীবীদের উপর কোন প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী এমন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেণ; তাতে দেশের প্রতি তাদের ঘৃণা স্পষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে। এবার আবার উঠে এল; সেই পুরনো বিতর্ক। বেতকভুক সেনারা মারা গেলে; তাঁরা কি শহিদ মর্যাদার যোগ্য? নতুন করে সেই পুরনো বিতর্ক তুলে দিয়ে; প্রথমে সমালোচিত ও পরে গ্রেফতার হলেন অসমিয়া লেখক শিখা শর্মা।
মাওবাদী হা’মলায় নিহত জওয়ানদের নিয়ে; সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত মন্তব্য করায়; গুয়াহাটির লেখক শিখা শর্মা-র বিরুদ্ধে; সোমবার দায়ের হয় দেশদ্রো’হের মামলা। দে’শদ্রোহ আইনে মঙ্গলবারই গুয়াহাটি থেকে; তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
২২ জন জওয়ান শহিদ হওয়ার পর; আসামের এই বুদ্ধিজীবীকে তাঁর ফেসবুক পোস্টের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪৮ বছর বর্ষীয় আসামের লেখিকা শিখা শর্মাকে; পুলিশ গ্রেফতার করায় শোরগোল পরে গেছে গোটা দেশে। করেছে। ছত্তীসগড়ে মাওবাদী হা’মলায়; নিহত জওয়ানদের ‘শহিদ’ তকমা দেওয়া নিয়ে; আপত্তি তোলেন শিখা।
নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন; “কোনও পেশায় বেতনভুক কোনও ব্যক্তি কর্তব্যরত অবস্থা মারা গেলেই; তাঁকে ‘শহিদ’ বলা চলে না। তাই যদি হয়, সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত, কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেও; তাঁকেও শহিদ বলা উচিত। সংবাদমাধ্যমকে বলি, মানুষের মনে; আবেগ তৈরি করবেন না”। এই পোস্টের পরেই, সমালোচনার ঝড়; বয়ে যায় অসম জুড়ে।
গুয়াহাটি পুলিশ কমিশনার মুন্না প্রসাদ গুপ্তা বলেছেন; “শিখা শর্মার উপর IPC ধারা ১২৪-এ সহ বিভিন্ন ধারায়; মামলা দায়ের করা হয়েছে”। অসমের লেখিকার পোস্টের পরেই; সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকজন ব্যাপক ক্ষোভ প্ৰকাশ করেণ। সোমবার গুয়াহাটি হাইকোর্টের দুজন উকিল; উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। গুয়াহাটি হাইকোর্টের এই দুজন উকিল বলেন; “এই ধরণের মন্তব্য দেশের সৈনিকদের বলিদানকে; কম দেখানোর চেষ্টা করে; এবং এটা দেশের মানুষের ভাবনার উপর ডাইরেক্ট আ’ক্রমণ”।