লেখনীকে অপবিত্র করে বিকৃতি ছড়িয়ে সমাজকে বিভ্রান্ত করা ছাড়াও নিম্ন ও মধ্যমেধার বাম বুদ্ধিজীবীদের আরেকটি কাজ ছিল বরেণ্য মনীষীদের সম্পর্কে কুৎসা রটানো

লেখনীকে অপবিত্র করে বিকৃতি ছড়িয়ে সমাজকে বিভ্রান্ত করা ছাড়াও নিম্ন ও মধ্যমেধার বাম বুদ্ধিজীবীদের আরেকটি কাজ ছিল বরেণ্য মনীষীদের সম্পর্কে কুৎসা রটানো। আজ গোটা বিশ্ব যেটাকে ‘cancel culture’ বলে চেনে তার পত্তন এই বরাহ নন্দনের দল অনেক আগেই বাংলার মাটিতে করেছিল। যেমন, সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র সম্পর্কে অসৎ, লম্পট সুনীল গাঙ্গুলির মিথ্যাচার, ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদার সম্পর্কে সিপিআই নেতা গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের অবমাননা সেটাও আবার ইতিহাস কংগ্রেসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্কে মার্ক্সবাদী তাত্বিক নেতা ভবানী সেনের উক্তিগুলিও বিশেষভাবে স্মর্তব্য।
প্রশ্ন উঠতে পারে, স্বনামধন্য প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের প্রতি বামাতিদের এইরূপ আচরণের হেতু কী? একটি কারণ অবশ্যই ষড়রিপুর শেষ রিপু- মাৎসর্য। কর্মযোগী উত্তমের প্রতি অকর্মণ্য অধমের ঈর্ষা। দ্বিতীয় এবং সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, একটি জাতির দিকনির্দেশক বুদ্ধিজীবীদের মতাদর্শসমূহকে বাতিল করে সেই জাতির কোমর ভেঙে দেওয়া যাতে আবর্জনাস্বরূপ দলীয় মতাদর্শর প্রসার ও প্রচার সহজতর হয়। কারণ স্বজাতি বিদ্বেষী বাঙ্গালী নামধারী কমিউনিস্টদের কাছে ‘সবার উপরে পার্টি সত্য তাহার উপরে নাই’।

স্বর্ণাভ মিত্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.