জোট বা tmc কে একটিও ভোট মানে আপনার উদ্বাস্তু হবার দিন খুব নিকটে

গতকাল অধীরবাবু যা বলেছেন, সেটাই ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী ইকুয়েশন হতে চলেছে।

বাস্তবের মাটিতে এই ইকুয়েশন অনেকদিনই হয়ে গেছে। এই ইকুয়েশন হল একদিকে বিজেপি, বাদবাকি অন্য সবদলগুলো আরেকদিকে।

এটা বিধানসভা ভোট রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়াটাই বেশি কাজ করে। এই প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াটা যাতে ভাগ হয়ে যায়, তাই এই ইকুয়েশন অনুযায়ী ২০২১এর নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী সব দল মিলে এই জোটটা করেনি।
ঠিক এই কারনে সিপিএম হটাৎ ভোটের মুখে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে নব্বান্ন অভিযান করে, এবং একটা নিরীহ অটোচালক মইদুল কে চক্রান্ত করে হত্যা করে।
এব্যপারে রাজ্যের শাসকদল জোটকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে। শাসক দলের একটাই কৌশল ছিল যদি তাদের বিরুদ্ধের ভোট ভাগ হয়ে যায়।
তিনদফা ভোটের পর কিন্তু বাস্তব চিত্র যেটা সেটা সবাই বুঝে গেছে। তাই মাননীয়া সিপিএমকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট না করার আবেদন করছেন।
আর অধীরবাবুও শাসক দলের ভোট পাওয়ার লক্ষ্যে ইঙ্গিত দিচ্ছেন, ভোটের পর জোটতো আছে, তাই জোটকে ভোট দিলে শাসক দলের ক্ষতি হবে না। অর্থাৎ প্রয়োজন পরলে ভোটের পর জোটের সমর্থনে তৃণমূলের সরকার হবে।
তাহলে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে বিজেপিবিরোধী ভোট নিয়ে শাসকদল ও জোটের মধ্যে টানাটানি হচ্ছে। এই টানাটানি বা ভাগাভাগিতে বিজেপি লাভবান হচ্ছে।

শাসক দল যেটা নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল যে রামের ভোট বামে ফিরে যাবে,সেটাতো হচ্ছেই না,বরঞ্চ শাসকদলের জোটকে তোল্লা দেওয়ায় বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাচ্ছে……… (চলবে)

তপেশ চক্রবর্তী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.