উত্তরবঙ্গের মানুষের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে বিজেপি : মোদী

নির্বাচনী প্রচারে বঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে, যথা শীঘ্র জল কষ্টের সমস্যার সমাধান করা হবে। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই প্রত্যেক কৃষকের সমস্ত বকেয়া-সহ পিএম সম্মান নিধির ১৮,০০০ টাকা সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।” মঙ্গলবার কোচবিহারের জনসভা থেকে এভাবেই বঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন মোদী। এদিন দুপুরে কোচবিহার রাস মেলা গ্রাউন্ডে আয়োজিত জনসভায় মোদী বলেছেন, “বিগত দু’দফায় বৃহৎ সংখ্যক মানুষ নিজেদের ঘর থেকে বেরিয়েছেন এবং লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দান করেছেন। বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, দিদি এবার ভোটে হারতে চলেছেন।” মমতাকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমি শুনলাম দিদি আজকাল প্রশ্ন করছেন, বিজেপি কি ভগবান! যে জেনে গিয়েছে বিগত দুই দফায় তারাই ভোট পেয়েছে? নির্বাচনের ফলের অনুমান কীভাবে পাওয়া যায় ? আসলে আপনার রাগ, আচরণ, কথা শুনে একজন শিশুও বলবে যে তৃণমূল নির্বাচন হেরে গিয়েছে। নন্দীগ্রামের পোলিং বুথে যেদিন আপনি খেলা করেছেন, সেদিনই সারাদেশের মানুষের বিশ্বাস হয়ে গিয়েছে যে আপনি এই নির্বাচনে হারছেন।” মোদী আরও বলেছেন, “আপনি কিছুদিন আগে বলেছেন যে, সব মুসলমান এক হও। ভোট ভাগ হতে দিও না।এর মানে হল আপনি মেনে নিয়েছেন যে, মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক যা কিনা আপনার শক্তি ছিল, তাও এখন আপনার হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। মুসলিমরাও আপনার থেকে এখন দূরে চলে গিয়েছেন। আপনি যা বলছেন তা যদি আমরা বলতাম, যে সকল হিন্দু এক হয়ে যান। বিজেপিকে ভোট দিন। তাহলে ইলেকশন কমিশনের তরফ থেকে আমরা অন্তত আট দশটি নোটিশ পেয়ে যেতাম এতদিনে। যে নির্বাচন কমিশন দু’বার নির্বাচন করিয়ে আপনাকে ক্ষমতায় এনেছেন, এখন আপনার তাদের নিয়েও সমস্যা। এই ঘটনা কি প্রমান করে না, যে আপনি হেরে গিয়েছেন?”
মমতাকে একের পর এক কটাক্ষ করে মোদী বলেছেন, “এখন দিদি বলছেন, ‘আমাকে বাঁচাও ,আমাকে বাঁচাও’। জনসমক্ষে সকল মুসলমানকে বলছেন এক হও। ভোট বাটোয়ারা করো না। এর অর্থই হল আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এই নির্বাচন হারছেন। যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি সব সময় দিদি করতেন। এখন সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকেও আঙুল তুলছেন? এটা তারই প্রমাণ দিচ্ছে যে, আপনি নির্বাচনে হারতে চলেছেন। এখন দিদির ইভিএম নিয়েও সমস্যা। এবার দিদি নিশ্চিত হারতে চলেছেন। দিদিকে রাজনীতি করতে এবার বাইরে যেতে হবে। যারা তিলক কাটে তাদের নিয়েও  দিদির সমস্যা। যারা গেরুয়া বস্ত্র পরে তাদের নিয়েও দিদির সমস্যা। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। দিদি হারতে চলেছেন। যারা তিলক কাটে তাদের নিয়েও দিদির সমস্যা। যারা গেরুয়া বস্ত্র পরে তাদের নিয়েও দিদির সমস্যা। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। দিদি হারতে চলেছেন।”কোচবিহারের জনসভা থেকে মোদী বলেছেন, “বাংলার সাধারণ মানুষকে, বাংলার যুবক, এমনকী কৃষকদের আপনি কী অবস্থাতে ছেড়ে দিয়েছেন? ১০ বছর পর্যন্ত আপনার তোলাবাজেরা বাংলা লুট করেছে। আর আপনি শুধু দেখেছেন। ১০ বছর ধরে উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। ১০ বছর ধরে এখানকার মা-বোনেদের চোখের জল পড়েছে।এখানকার আদিবাসীরা, চা বাগানের শ্রমিকরাও বঞ্চিত হয়েছে। দিদি শুধু দেখেছেন সেসব। কিন্তু তাদের উন্নয়নের কিছুই করেননি।” মোদী আরও বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত ৪ কোটির বেশি পরিবারের জন্য নলের সাহায্যে পরিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বাংলার মানুষ এখনও জল কষ্টের শিকার। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, বাংলায় বিজেপি সরকার এলে যথা শীঘ্র সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করবো। বাংলায় বিজেপি সরকার এলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই প্রত্যেক কৃষকের সমস্ত বকেয়া-সহ পিএম সম্মান নিধির ১৮,০০০ টাকা সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। ২ মে আপনারা বিজেপি সরকার তৈরি করুন। এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার আনুন। উত্তরবঙ্গের মানুষের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে বিজেপি সরকার।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.