ভারতে তীব্র গতিতে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সরকার ১১ ই এপ্রিল থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সরকারী ও বেসরকারী অফিসে কোভিড -১৯ টিকা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।এর মাঝে মহারাষ্ট্র সরকার দাবি করেছিল যে মুম্বই সহ একাধিক জায়গায় ভ্যাকসিনের স্টক পড়তির দিকে। এবার মহারাষ্ট্র সরকারের সমস্ত অভিযোগ নাকচ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি স্পষ্ট জানালেন করোনা ভ্যাকসিনের কোনো অপ্রতুলতা নেই। কিছু রাজ্য বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কতগুলি রাজ্যে গত এক বছর ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে।আর নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই সকলের জন্য টিকার দাবি তোলা হয়েছে। রাজ্যগুলি জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।তিনি আরও বলেন রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ চাইছেন ১৮ বছরের উপরে প্রত্যেক নাগরিকদের অবিলম্বে টিকা দেওয়া হোক ও টিকাদানের যোগ্যতার জন্য নূন্যতম বয়সের মানদণ্ডকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস করা হোক।সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।টিকার চাহিদা ও সরবরাহের গতি নিয়ে প্রতি মুহূর্তে রাজ্যসরকারগুলিকে যাবতীয় তথ্য জানান হচ্ছে।
মূলত বুধবার মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছিল যে, রাজ্যে আর তিনদিনের মতো ভ্য়াকসিন রয়েছে। কেন্দ্রকে আরও ভ্যাকসিন পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। রাজ্যে প্রতিদিন সর্বোচ্চ সংখ্যায় মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। মুম্বইয়েও ভ্যাকসিনের মাত্র তিন দিনের স্টক রয়েছে। মাত্র ১৪ লক্ষ ডোজ রয়েছে। যার মানে এই দিয়ে আর তিন দিন চালানো সম্ভব। প্রতি সপ্তাহে আমাদের ৪০ লক্ষ ডোজ প্রয়োজন হয় যাতে প্রতিদিন আমরা ৫ লক্ষ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দিতে পারি।
এর মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, টিকার প্ৰয়োজনীয়তা নিয়ে অহেতুক তর্ক খুবই হাস্যকর। প্রত্যেক ভারতীয় নিরাপদ জীবনের সুযোগ পাওয়ার যোগ্য।পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও অনুরূপ দাবি করেছেন।অন্যদিকে ওড়িশার স্বাস্থ্য সচিব পিকে মহাপাত্র কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন যে, রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য কোভিশিল্ডের ১৫-২০ লক্ষ ডোজ প্রয়োজন।গোটা দেশে টিকাকরণের তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে।বর্তমানে কেবল ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী লোকেরা টিকা নিচ্ছেন।