দেশে বিদ্যুতের গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে বসবেন মোদী। যেভাবে রোজ দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, সেই প্রেক্ষিতে সংক্রমণের গতিকে রাশ কীভাবে টানা যায় সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। পাশাপশি টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর।
প্রধানমন্ত্রী গত ১৭ই মার্চ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছিলেন, সে সময় তিনি দেশের বিভিন্ন অংশে করোনা সংক্রমণের তীব্রতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
দেশে করোনা সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত রবিবার সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়েও বিস্তর আলোচনা করেন। মিটিং-এর পর জারি করা বিবৃতিতে পাঁচটি বিষয়ের উপর জোর দিতে বলা হয়েছিল- টেস্টিং, ট্রেসিং, ট্রিটমেন্ট, করোনা বিধি মানুষ মানছে কিনা তা নজর রাখা এবং টিকাকরণ।বিবৃতিতে বলা হয়েছিল এই পাঁচটি বিষয় কৌশলগতভাবে মেনে চললে করোনার সংক্রমণকে আটকানো যেতে পারে।
করোনাবিধি না মেনে চলাকেই করোনার দ্রুত সংক্রমণের প্রধান কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে। সাধারণত মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, লকডাউন না-করে কী ভাবে করোনা প্রভাবিত রাজ্যে এলাকাভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন ও আংশিক লকডাউনের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়, তারই রাস্তা খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আবার যদি লকডাউন ঘোষণা করতে হয়, তা হলে দেশের অর্থনীতিকে আর চাঙ্গা করা যাবে না, এমনটাই আশঙ্কা মোদীর।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ২৬৫ জন। এর জেরে দেশে একম মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫ হাজার ২১। এদিকে দেশের যাবতীয় চিন্তা বাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫৯ হাজার ৯০৭ জন। মোট আক্রান্তের নিরিখে এরপরই রয়েছে কেরল, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো দক্ষিণী রাজ্যগুলি।