করোনা টিকা: সেরাম ইনস্টিটিউটকে নোটিস পাঠাল অ্যাস্ট্রোজেঙ্কা

সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালাকে নোটিস পাঠাল অ্য়াস্ট্রোজেঙ্কা। ভ্যাকসিন সরবরাহে দেরি হওয়ার জন্য তাদের এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি পুনাওয়াল্লা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে ভারতে যেভাবে চাহিদা বাড়ছে তাতে কোভিশিল্ড দ্রুত তৈরি করা মুশকিল। এরপরই অ্যাস্ট্রোজেঙ্কার থেকে নোটিস পেল সেরাম।

পুনাওয়ালা এও জানিয়েছেন, ভারত বড় মাপের কোভিশিল্ড বিদেশে রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংস্থার ‘প্রথম দাবি’ চুক্তি বিদেশে ব্যাখ্যা করা কঠিন। কারণ সেখানে প্রতিটি ডোজ যথেষ্ট পরিমাণে বেশি বিক্রি হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় ভ্যাকসিন প্রয়োজন। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারত অগ্রাধিকার পাচ্ছে। প্রত্যেক ভারতীয়র এই টিকা প্রয়োজন। আর সংস্থা এই চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। গত সপ্তাহে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে সরাসরি ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তারা জারি করবে না। কিন্তু এখন প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৬৫ মিলিয়ন ভ্যাকসিন চাই। এতদিন পর্যন্ত ভারতকে তারা ১০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। রপ্তানি করেছে ৬০ মিলিয়ন।

তিনি এও বলেছেন, সরকারকে বড় অঙ্কের ডিসকাউন্টে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। জুন মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য এই অর্থসংস্থান প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পুনাওয়ালা। সেরাম ইনস্টিটিউট এখনও পর্যন্ত ২ মিলিয়নেরও বেশি কোভিশিল্ড তৈরি করেছে। ভারতে প্রায় ১৫০ টাকা দরে ভ্যাকসিন বিক্রি করেছে তারা। এই টাকা রপ্তানির খরচের থেকেও কম। পুনাওয়ালার মতে, এই ভ্যাকসিনের দাম গড়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু যেহেতু মোদী সরকার অনুরোধ করেছে সেই কারণে এই দামে তারা ভ্যাকসিন বিক্রি করেছেন। তার মানে এই নয় যে তারা লাভ করছেন না। কিন্তু অতিরিক্ত লাভ হচ্ছে না। যার ফলে পুনরায় বিনিয়োগে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

এখন প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। এর জন্য ৮৫ দিন সময় রয়েছে। পুনাওয়ালা এ নিয়ে সরকারকে ব্যাঙ্ক লোনে জন্য অনুরোধ করবেন। যদি সেরাম ইনস্টিটিউট তার ক্ষমতা বাড়াতে পারে, মাসে ১০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপন্ন করতে পারে তবে ভারতের অন্যান্য প্রস্তুতকারী সংস্থাও প্রয়োজন অনুযায়ী অর্ডার বাড়াতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.