ফের বোমা বিস্ফোরণ পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসিতে। গত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের দু’টি ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচনের আবহে এমন বিস্ফোরণের ঘটনায় চলছে রাজনৈতিক চাপান উতোর।
বিভিন্ন জায়গায় মজুত করে রাখা বোমা থেকে বিস্ফোরণ হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই বোমা উদ্ধার নিয়ে পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা সামনে আসছে।
রবিবার রাতে গলসি থানার আটপাড়ায় একটি বাড়িতে বোমা ফাটে। মঙ্গলবার সকালে রাইপুর গ্রামে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ফের বিস্ফোরণ হয়। চারপাশ কেঁপে ওঠে। বহুদূর থেকে শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গাঁথনির ইট অনেক দূরে ছিটকে পড়ে।
খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিস্ফোরণ স্থল ঘিরে রাখে পুলিস। পরে সিআইডির বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে আসে। আশপাশের এলাকায় বোমার সন্ধানে তল্লাশি চালান সিআইডির বোমা বিশেষজ্ঞরা। যদিও বোমা উদ্ধার হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ গলসির রাইপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পাশে মাঠে একটি নির্মীয়মান বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। চারপাশে গাঁথনির ইটের টুকরো ও বালি ছড়িয়ে পড়ে। প্লাস্টিকের জারের অংশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়। তা থেকে পুলিসের অনুমান, প্লাস্টিকের জারে বোমা মজুত করে তা বালিতে পোঁতা ছিল। প্রচণ্ড গরমে বোমা ফেটে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর খানেক আগে বাড়িটি তৈরি শুরু হয়। তবে, কিছুদিন পর বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রুনা খাতুন বলেন, ওখানে পাড়ার ছেলেরা খেলতে যায়। কিন্তু, এদিন কেউ যায়নি। বরাত জোরে বড়সড় ঘটনা থেকে রক্ষা মিলেছে। প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বালি ও ইটের টুকরো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিসের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
রবিবার গলসির আটপাড়ায় ফটিক শেখের বাড়ির উঠানে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় ফটিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকমাস আগে আটপাড়ায় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। বিস্ফোরণে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বাথরুমের ছাউনি ও দরজা উড়ে যায়। গলসিতে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গলসি থানার এক অফিসার বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। কিভাবে বোমা সেখানে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।