আজ রাজ্যে তৃতীয় দফায় তিন জেলার ৩১টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। আর আজকের দিনেই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমে তিনি কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে একটি জনসভা করবেন। এরপর দ্বিতীয় সভাটি হাওড়ার ডুমুরজলায় করবেন তিনি। আজ তৃতীয় দফার নির্বাচনের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা দিবসও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোচবিহারের জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় এক বয়স্ক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর নজরে এই ঘটনা আসার পর তিনি নিজের ভাষণ থামিয়ে দেন। এরপর তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে যেই ডাক্তাররা এসেছেন, তাঁরা একটু দেখুন। ওই মা কে জল দিন। ওনার দেখভাল করুন। আমার টিমের ডাক্তাররা ওনার কাছে যান এখুনি।”
কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাতে নেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণ করার অভিযোগ তুলে বলেন, আপনি বলছেন মুসলিমদের একজোট হয়ে ভোট দিতে। আমি যদি বলি হিন্দুরা একজোট হয়ে বিজেপিকে ভোট দিন, তাহলে কেমন হত?”
নরেন্দ্র মোদী বলেন, যেদিন আপনার দলের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, আপনি বারাণসী থেকে নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন ২০২৪-এ। সেদিনই সবাই বুঝে গেছিল যে, আপনি এবার বাংলা থেকে বিদায় নিচ্ছেন।
আপনি জনসভায় এতদিন ধরে আমাকে নিয়ে যা যা বলেছেন, সেটা আমি বললে আমাকেও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হত। সংবাদপত্র জুড়ে আমার সমালোচনা হত।
নন্দীগ্রামের বুথে আপনার কীর্তি সবাই দেখছে। ওটা দেখেই সবাই বুঝে গিয়েছিল যে, আপনি হারছেন।
২ মে তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। প্রথম আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বাংলার মানুষ দুহাত ভরে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। আর আজকের দিনেও তাই হচ্ছে। বাংলায় বিজেপির জয় নিশ্চিত। বাংলায় বিজেপির এমন ঢেউ উঠছে, যাতে তৃণমূল আর দিদির গুন্ডা বাহিনী ভেসে গেছে।