দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার ভোটের দিনেই এ রাজ্যে এসে প্রচার করে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এর পর আবার আসবেন চতুর্থ দফার দিন। আগামী ১০ এপ্রিল, শনিবার জোড়া সভা রয়েছে তাঁর। একটি শিলিগুড়িতে। অন্যটি কল্যাণীতে।
মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোট চলল হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১ আসনে। প্রধানমন্ত্রী দুপুরে কোচবিহারে প্রথম সভা করেন। দ্বিতীয় সভা করেছেন হাওড়ার ডুমুরজলায়। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন মথুরাপুর এবং উলুবেড়িয়ায় সভা করেন তিনি। প্রথম দফার দিন অবশ্য তিনি রাজ্যে আসেননি।
দু’দফায় যে সব জায়গায় সভা করেছেন মোদী, তার চারটের মধ্যে তিনটেরই ঠিক পাশের জেলাতে বা একই জেলার অন্যত্র ভোট চলেছে সেই সময়। যেমন দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে যখন ভোট চলছিল, মোদী তখন পাশের জেলা হাওড়ার উলুবেড়িয়াতে সভা করেছেন। ওই দফাতেই ভোট ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ এবং সাগরে যখন ভোট চলছিল, মোদী তখন সভা করছিলেন মথুরাপুরে। তৃতীয় দফাতে হাওড়া জেলায় অন্য অংশে যখন ভোট চলছে, মোদী সভা করলেন ডুমুরজলায়। কোচবিহারের আশপাশে অবশ্য মঙ্গলবার কোনও ভোট ছিল না। বিজেপি সূত্রের খবর, চতুর্থের পর পঞ্চম থেকে সপ্তম এই তিনটে দফাতেও রাজ্যে আসতে পারেন মোদী। এ প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর ঝটিতি জবাব, “অষ্টম দফায় তো আর আসবেন না, তবে কথা দিয়েছেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি আসবেন।”
বাংলা জয়ের লক্ষ্যে এ রাজ্যে বার বার ছুটে আসছেন মোদী-শাহ-নড্ডারা। এসেছেন বিজেপি-র আরও অনেক শীর্ষ নেতৃত্ব। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার সভা করেছেন। এখনও করছেন। একটা রাজ্যের ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্য নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ভাবে বার বার সভা করছেন, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এমন উদাহরণ খুব বেশি মনে করতে পারছে না রাজনীতি মহল। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্যান্য রাজ্যে ভোট শেষ হযে যাচ্ছে। বিজেপি সূত্র বলছে, বাংলায় প্রচারের গতি এ বার আরও বাড়িয়ে দেবেন শাহ-নড্ডারা।
আগামি শনিবার ভোট শুরু হতে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গে। ভোট হবে কোচবিহার আর আলিপুরদুয়ারের সব আসনে। সে দিন মোদী প্রচার সভা করবেন উত্তরবঙ্গের কেন্দ্র শিলিগুড়িতে। তার পরের সভা নদিয়ার কল্যাণীতে। গঙ্গার উল্টো পাড়ে হুগলিতে তখন ভোট। সে দিন ভোট আছে হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও।