উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পাপিয়া অধিকারীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ঘটে এই ঘটনা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ চলাকালীন উলুবেড়িয়া দক্ষিণে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে এক বিজেপি কর্মীকে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই কর্মীকে দেখতেই উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে যান পাপিয়া। সেখানেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। প্রার্থীকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয় বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। পাপিয়া হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান।
বিজেপি-র অভিযোগ, হাসপাতালের বাইরে পাপিয়ার সঙ্গে থাকা কর্মীদের মারধর শুরু করে তৃণমূল। পাপিয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকে চড় মারা ও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেখানে পুলিশ থাকলেও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপি-র। পাপিয়া ছাড়াও আরও কিছু বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের।
এই ঘটনার পরে পাপিয়া বলেন, ‘‘আমি সকাল থেকে এলাকায় ঘুরছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী খুব ভাল কাজ করছে। কিন্তু তৃণমূল বারবার সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমাদের কর্মীদের তরোয়াল দিয়ে মারা হয়েছে। সব ভোট বিজেপি-র দিকে পড়ছে দেখেই ওরা আমার উপর হামলা করেছে। চড়, ঘুষি তো বটেই লোহার রড দিয়ে আমাকে মেরেছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা ঠিক কোথায়। আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।’’ পাপিয়া আরও বলেন, ‘‘যাঁরা আমাকে আজ মেরে ফেললেন না, তাঁরা ভুল করলেন। আগামী দিনে আমি দেখিয়ে দেব সুষ্ঠু প্রশাসন কাকে বলে।’’
বিজেপি-র অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, প্রার্থীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়।