দুষ্কৃতীর হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দিতে গেলেন এক মহিলা। রীতিমতো রুখে দাঁড়িয়ে তাঁকে পাল্টা জবাব দিতে দেখা গিয়েছে। বলেছেন, ‘যা করার করে নিবি যা’। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের পানাকুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁদের ভোটারকে ভোটদানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি তৃণমূল।
ভোট এলেই রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে ভোটারদের শাসানোর অভিযোগ প্রায়ই সামনে আসতে দেখা যায়। কোথাও মারধরের মতো ঘটনাও ঘটে। কিন্তু মঙ্গলবার ভোট দিতে যাওয়ার আগে এক দুষ্কৃতীর হুমকির মোকাবিলা যে ভাবে করলেন ওই মহিলা, সেই ভিডিয়ো নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডিজিটাল। অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতী তৃণমূলের আশ্রিত। মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবারই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা পাড়ার রাস্তা দিয়ে হেঁটে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান এক ব্যক্তি। ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে। মহিলাকে রীতিমতো ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। কিন্তু পিছু না হঠে পাল্টা রুখে দাঁড়ান মহিলা।
ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘ভোটটা কিন্তু বড় কথা নয়। এর পর যা হবে, সামলাতে পারবি তো’? মহিলা পাল্টা তাঁকে জবাব দেন, ‘আমার বাড়ির অ্যাসবেস্টর্স ভেঙেছিস কেন? তোদের দলের লোকেরা আমার বাড়ি ভেঙেছে’। বিষয়টা অস্বীকার করার চেষ্টা করতে দেখা যায় ব্যক্তিকে। এর পরই মহিলা ভোট দেওয়ার জন্য পা বাড়াতে ফের হুমকি আসে, ‘এর যে প্রভাবটা পড়বে সেটা সামলাতে পারবি তো’? তখন মহিলা ফের রুখে দাঁড়িয়ে জবাব দেন, ‘কী করবি? যা করার করে নিস’।
ভিডিয়োটি সামনে আসতেই নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভিডিয়োর ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথাও বলেছে কমিশন। শুধু তাই নয়, জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্টও দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।